তত্ত্ব ও দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
তত্ত্ব ও দর্শন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মিখাইল বাখতিনের ভাবনা-চিন্তার পটভূমি

 বাখতিন সার্কেলের প্রধান ব্যক্তি তিনজন। সংস্কৃতিতাত্ত্বিক মিখাইল মিখাইলোভিচ বাখতিন (১৮৯৫-১৯৭৫), ভাষাতাত্ত্বিক ভ্যালেন্টিন নিকোলাইভিচ ভলশিনভ (১৮৯৫-১৯৩৬) এবং সাহিত্যের পণ্ডিত পাভেল নিকোলাইভিচ মেদভেদেভ (১৮৯১-১৯৩৮)। তাঁরা কাজ করতেন মুখ্যত দর্শনের ভিত্তিতে; এবং মানববিদ্যা, ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, এবং বিচিত্র সংস্কৃতিতত্ত্ব তাঁদের কাজের মধ্য দিয়ে আলোকিত হয়েছে। তাঁদের পূর্বসূত্র পাওয়া যায় নব্য কান্টবাদ বিশেষত মারবার্গ স্কুলে, ম্যাক্স শিলার প্রমুখের ফ্যানমেনলজিতে, এবং রুশ আঙ্গিকবাদীদের কাজে। এছাড়া হেগেল আর রাশিয়ায় চালু নানা মার্কসবাদী ধারা, যেমন গিয়র্গি লুকাচ প্রমুখের কাজও তাঁদের প্রভাবিত করেছিল।

বাখতিনের পলিফনি ও দ্বিবাচনিকতার প্রয়োগ

 অভিনন্দন দাস

হাংরি আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাববিশ্ব

সমীর রায়চৌধুরী

প্রথম পঞ্চবার্ষিক যোজনায় ( ১৯৫১-৫৬ ) কৃষি, সেচ, পথঘাট নির্মাণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকে জোর দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ আর দেশভাগ বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্বাসন। অর্থাৎ ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকারের খেসারতের ভার থেকে ক্রমমুক্তি। কর্মসংস্হান বৃদ্ধি আর খাদ্য সমস্যার সমাধান। সাফল্য জোটে আশাতীত। জাতীয় আয়ের লক্ষমাত্রা ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে ১৮ শতাংশে পোঁছোয়।

সাহিত্যসৃষ্টি : অনুকরণের দোষ ও অঅনুকরণের পরিণতি

সাহিত্য পাঠ ও ইতিহাস: একটি তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা

মো. মমিন উদ্দীন
একটি বিশেষ সময়ের সাহিত্য পাঠ ও অনুধাবন করতে হলে ঐ সময়ের ইতিহাস সম্পর্কে ভালো করে জানা দরকার কারণ সাহিত্য গড়ে ওঠে সমাজ ও ইতিহাসকে নির্ভর করে। সময়ের সাথে সাথে যেমন সমাজে পরিবর্তন আসে সাহিত্যেও তেমনি পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়। তাই সমাজ ও ইতিহাসের সাথে সাহিত্যের সম্পর্ক অতি নিবিড়। এককথায় বলা যায় একটি বিশেষ সময়ের মানুষের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো করে না জেনে ঐ সময়ে লিখিত কোন সাহিত্য কর্ম অনুধাবন করা কঠিন। রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ছোট গল্প বা নাটক বা উপন্যাস পাঠ করলে রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কার সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। আবার নজরুল ইসলামের মৃত্যুক্ষুধা নাটক পড়লে ঐ সমাজের–যে সমাজকে ভিত্তি করে মৃত্যুক্ষুধা নাটকটি লিখিত হয়েছে–মানুষের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। এভাবে প্রতিটি সাহিত্য কর্মই সাহিত্য কর্মটি লিখিত হওয়ার সময়ের সমাজের চিত্র তুলে ধরে। আর এ কারণে সাহিত্যকে সমাজের দর্পন হিসেরে উল্লেখ করা হয়।

সাহিত্য-সমালোচনার কথকতা

indexdd-hap
হাসান অরিন্দম  
সক্রেটিস (৪৬৯-৩৯৯ খ্রি.পূ.) সেকালে তার দেশে বিজ্ঞজন বলে পরিচিতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখেন তারা আসলে যথেষ্ট বিজ্ঞ নন। তিনি যত্ন ও সতর্কতার সাথে লেখা কিছু কবিতা আলোচনার জন্য নির্বাচন করেন। পরে তিনি উক্ত কবিতাগুলোর কবিদের কাছে কবিতার ব্যাখ্যা জানতে চান। কিন্তু তাতে কবিগণ ব্যর্থ হন। এ থেকে সক্রেটিস সমালোচনা বিষয়ে একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা পেয়ে যান, তা হলো : বিজ্ঞ বলেই কবিরা কাব্য রচনা করেন এমন নয়, তাদের কাব্য রচিত হয় একটি বিশেষ গুণ বা প্রতিভার দ্বারা- যা থাকে সৃজনী উন্মাদনার মূলে। বস্তুত কাব্য রচনা করার শক্তি এবং তা উপভোগ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করবার শক্তি অনেকটা আলাদা তিন জাতের।

ভারতে বুর্জোয়া শ্রেণির উদ্ভব, বৈশিষ্ট্য ও প্রকৃতি

রোহিত মিশ্র

ভারতের কমিউনিস্ট বিপ্লবী আন্দোলনে ভারতীয় সমাজের শ্রেণিবিশ্লেষণ ও বুর্জোয়াশ্রেণির চরিত্র নিয়ে বিতর্কের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। বিশেষত বিগত প্রায় ৪৫ বছর ধরে ভারত রাষ্ট্রকে আধা-ঔপনিবেশিক ও আধা-সামন্ততান্ত্রিক হিসেবে এবং ভারতীয় বুর্জোয়াশ্রেণিকে মুৎসুদ্দি বলে চিহ্নিত করার অবস্থান ভারতের কমিউনিস্ট বিপ্লবী শিবিরে জোরালোভাবেই বিদ্যমান রয়েছে। অন্যদিকে ভারতের সংশোধনবাদী বামদলগুলির কেউ কেউ, কমিউনিস্ট বিপ্লবী শিবিরের কোনো কোনো সংগঠন, বিভিন্ন গোষ্ঠী ও ব্যক্তিবর্গ ভারতকে মূলত একটি স্বাধীন পুঁজিবাদী দেশ হিসেবে ও এদেশের বৃহৎ পুঁজিপতিশ্রেণিকে স্বাধীন বা জাতীয় বুর্জোয়া বলেও চিহ্নিত করেছেন।

উত্তরাধুনিকতা, নৃবিজ্ঞান এবং রাজনীতি

১৯৬০ সালের শেষ দিকে যখন নতুন সম্পর্ক এবং নতুন স্বর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে প্রবেশ করেছিল তখন রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব হয়েছিল । একই সাথে ৬টি উদাহরন বা নমুনা বের হয়ে এসেছিল যা স্বার্থক ভাবে উপপর্যায়ের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত। এই ৬টি প্যারাডাইম হচ্ছে নব্যবিবর্তনবাদ ,ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক তত্ত্ব, রাজনৈতিক অর্থনীতি, কাঠামোবাদ, ক্রিয়া তত্ত্ব, পদ্ধতিগত তত্ত্ব। ৩য় বিশ্বের রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রসংগে বলা যায় যে, ঔপনিবেশিকতাবাদ থেকে বেরিয়ে আসা এবং নতুন জাতির স্বীকৃতি সামাজ্যবাদ এবং নব্যসামাজ্যবাদ গঠন করে যাকে অর্থনৈতিক সামাজ্যবাদ বলা হয় যা উপপর্যায়ের সাথে জড়িত ছিল ।

স্ট্রাকচারালিজম

বাংলা সাহিত্যে নারী এবং সাহিত্যে তাদের অবস্থান ও অবদান

তানিয়া হোসেন

সাহিত্যে নারী লেখকদের সর্বদাই একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয়। এ প্রথা সর্বকালের এবং সর্বযুগের। ইংরেজি সাহিত্যর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায় যে সাহিত্য মূলত পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কখনো কখনো নারী লেখকদের লেখাকে বিভিন্ন সাহিত্যে অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। প্রবন্ধটি আমি বাংলা সাহিত্যে নারী এবং সাহিত্যে তাদের অবস্থান ও অবদান নিয়ে কথা বলবো। তবে আমার সব সময় যেটা মনে হয়েছে যে সাহিত্যকে সাহিত্যের দৃষ্টিতেই মূল্যায়ন করা প্রয়োজন তা লেখকের লিঙ্গ ভেদে মূল্যায়ন করা সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের প্রতি অবিচার করা হয়ে থাকে।

বিহঙ্গ দৃষ্টিতে প্রতীচ্য সাহিত্য-সমালোচনা তত্ত্ব

বেগম আকতার কামাল


গ্রিক ভাষায় Theory শব্দের মূলে আছে পর্যবেক্ষণ, যা দেখা হয়েছে। বাস্তব জগৎকে আমরা দৃশ্যমান রূপে দেখি ও তা থেকে বাস্তবতা নিরূপণ করি। তেমনি সাহিত্যকর্মকে দেখাই সমালোচনার মূল লক্ষ্য একভাবে নয়, অনেকভাবে দেখা। দেখার কাজটি সম্পন্ন হয় মস্তিষ্কের ক্রিয়াশীলতায় এবং তা দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়। সমালোচনাও মস্তিষ্কসঞ্জাত বৌদ্ধিক ক্রিয়া। বস্তুজগতকে রূপান্তর বা পুনর্নির্মানের বা সৃষ্টিক্ষমতা তা থেকেই উৎপন্ন হয় জ্ঞান-বিজ্ঞান-সাহিত্য।

এডওয়ার্ড সাঈদ এবং উত্তর উপনিবেশ বিরোধী লড়াই

হুমায়ুন আজাদের কবিতা দিয়ে শুরু করা যাক। ...........আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে/আমি গান গাইতে চেয়েছিলাম আমার আপন সুরে/ওরা আমার কন্ঠে পুরে দিতে চেয়েছিল ওদের শ্যাওলাপড়া সুর/আমি আমার মত স্বপ্ন দেখতে চেয়েছিলাম/ওরা আমাকে বাধ্য করেছিল ওদের মত ময়লাধরা স্বপ্ন দেখতে/আমি আমার মত দাঁড়াতে চেয়েছিলাম/ওরা আমাকে নির্দেশ দিয়েছিল ওদের মত মাথা নিচু ক’রে দাঁড়াতে/আমি আমার মতো কথা বলতে চেয়েছিলাম/ওরা আমার মুখে ঢুকিয়ে দিতে চেয়েছিলো ওদের শব্দ ও বাক্যের আবর্জনা/আমি খুব ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিলাম/ওরা আমাকে ওদের মতোই দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছিলো বাইরে/ওরা মুখে এক টুকরো বাসি মাংস পাওয়াকে ভাবতো সাফল্য/ওরা নতজানু হওয়াকে ভাবতো গৌরব/ওরা পিঠের কুঁজকে মনে করতো পদক/ওরা গলার শেকলকে মনে করতো অমূল্য অলঙ্কার/আমি মাংসের টুকরো থেকে দূরে ছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি/আমি নতজানু হওয়ার বদলে বুকে ছুরিকাকে সাদর করেছিলাম/এটা ওদের সহ্য হয় নি/আমি গলার বদলে হাতেপায়ে শেকল পরেছিলাম। এটা ওদের সহ্য হয় নি/আমি অন্যদের সময়ে বেঁচে ছিলাম। আমার সময় তখনো আসেনি।

উত্তর-ঔপনিবেশিকতার আলোকে উইলিয়াম শেক্সপিয়রের দ্য টেম্পেস্ট

কামালউদ্দিন নীলু



ভূমিকা

উত্তর-ঔপনিবেশিক তত্ত্বটি উপনিবেশ স্থাপনকারী ও উপনিবেশের শোষিতদের মধ্যে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উত্তেজনা এবং মনস্তাত্ত্বিক সংঘর্ষের ফসল। আমি মনে করি, এই তত্ত্বটি ভেঙে ফেলবে ইউরোপকেন্দ্রিকতাকে এবং খোলা চোখে দেখিয়ে দেবে ইউরোপীয় মূল্যবোধ ও ইউরোপীয়দের তৈরিকৃত মানদণ্ড কোনোভাবেই সর্বজনীন নয়। এটা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বুঝিয়ে দেবে একই ঐতিহাসিক ঘটনা ব্যাখ্যা করা যায় যথাক্রমে ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, জাতিগত মানদণ্ড ও মূল্যবোধ অনুসারে, যেখানে গৃহীত মূল্যবোধ পরিবর্তিত হয়ে পড়বে পুনঃস্থাপনের ওপর ভর করে, যা চিহ্নিত করবে একটি পুনর্নির্মাণ কাঠামো, এই পুনর্নির্মাণ কাঠামো তৈরি হবে একটি সংস্কারধারার মধ্য থেকে। আমার বিশ্বাস, এই প্রবন্ধটি প্রশ্নবিদ্ধ করবে ঔপনিবেশিকতাবাদের প্রদত্ত কারণগুলোকে। আমি মনে করি, এটা সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থকে ভিত্তি করে গঠিত পূর্বের কাঠামোকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে, যা প্রকাশ করে দেবে পাশ্চাত্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থকে; যে স্বার্থের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঔপনিবেশিকতাবাদ।

উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্ব


গত তিন দশকব্যাপী সাম্রাজ্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ এবং উপনিবেশবাদের সমালোচনা করে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। এসব গ্রন্থ ও প্রবন্ধে লেখকদের দৃষ্টিভঙ্গি, তথ্য বিশ্লেষণ এবং মতামতের মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা থাকলেও এগুলোকে ‘উত্তর-উপনিবেশবাদী’ বলে শ্রেণীকৃত করা হয়। তার কারণ এসব রচনার সাধারণ আলোচ্য বিষয় ঔপনিবেশিক শাসন, তার প্রক্রিয়া ও কুফল এবং তার প্রতিক্রিয়া ও মোকাবেলা।

চমস্কি ও ফুকো (লাস্ট পার্ট)

____________________
এল্ডার্স: আমি জানি না, তবে আপনি যেটা বললেন আমি সেটাকে আপনার নৃবৈজ্ঞানিক ধারণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করছিলাম। একটু আগেই আপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা ও স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথা বলতে আপনি অস্বীকার করেছেন, ঠিক কিনা? এর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কী হতে পারে সেটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি?

ফুকোরে ভুলে যান (পার্ট ১)


ফুকোরে ভুলে যান।। জ্যাঁ বদ্রিয়াঁ।।
ভূমিকা এবং ইন্টারভিউ: সিলভেরি লটরিঙ্গার।

ফুকোরে ভুলে যান (পার্ট ২)


জঁ বদ্রিয়াঁ
জঁ বদ্রিয়াঁ

উত্তরাধুনিকতাবাদ : মহান আখ্যান থেকে ক্ষুদ্র উপাখ্যান

রাশিদ আশকারী

উত্তরাধুনিকতাবাদ (Postmodernism)  সমকালীন চিন্তাজগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি শব্দ। একটি বহু-বিতর্কিত অভিধা। স্তুতি, নিন্দা, সমর্থন, অসমর্থন নির্বিশেষে উত্তরাধুনিকতাবাদ একটি বিপুল আলোচিত/সমালোচিত তথা বিতর্কিত একাডেমিক প্রপঞ্চ। অতি অল্পসময়ে বিষয়টি এতো প্রচার ও প্রসার পেয়েছে যে তার সাথে একমত কিংবা দ্বিমত পোষণ করা সহজ, কিন্তু তাকে অগ্রাহ্য করা সহজ নয়। 

সক্রেটিস এর তত্ত্ব ও বিচার পর্ব

ভাস্কর চৌধুরী 

ইয়োরোপ তথা এথেন্সে সক্রেটিসের আগে আরো বিখ্যাত অনেক দার্শনিক তাদের বিখ্যাত তত্ব দিয়ে গেছেন । কাল বিচারে এরা সকলেই সক্রেটিসের আগে থেকে ৫০০ বছর আগের দার্শনিক । এদের ভেতর ছিলে থেলিস , পারমিনাইডিস , হেরাক্লিটাস , পিথাগোরাস , ইউরিপাইডিস । হেরাক্লিটাসের বিখ্যাত উক্তি , ` তুমি এক নদীতে দুবার পা লেখতে পারবে না কারণ তোমার উপর দিয়ে সর্বদাই নতুন জল প্রবাহিত হচ্ছে । ` সময়ের ও বহমান জীবন চিন্তায় এই কথাটি চিরস্মরণীয় হয়ে আছে ।