রবীন্দ্রনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রবীন্দ্রনাথ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানভাবনা : গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়

 রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞানভাবনা


গৌতম গঙ্গোপাধ্যায়

(প্রথমেই একটা স্বীকারোক্তি করে নেয়া ভালো । আমি সাহিত্যের বিশেষজ্ঞ নই, বিজ্ঞানের ছাত্র। রবীন্দ্রনাথ শেষ বিচারে লেখক। তাঁর অনুরাগী পাঠক হলেও লেখার সাহিত্য বিচার আমার পক্ষে ধৃষ্টতা। তাই তাঁর যে সমস্ত গল্পের পটভূমি বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যেমন “তিনসঙ্গী” বা  “ল্যাবরেটরি”, তাদের বিশ্লেষণ এই লেখাতে নেই। অন্যদিকে আমি সমাজবিজ্ঞানীও নই, তাই রবীন্দ্রনাথের লেখার সমাজবিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণও আমার পক্ষে অনধিকারচর্চা। কিন্তু সমাজ-বিচ্ছিন্ন ভাবে বিশেষত প্রযুক্তি বিষয়ে আলোচনার চিন্তাও করা যায় না। তাই এই প্রবন্ধকে বিজ্ঞানের এক ছাত্রের ব্যক্তিগত মত হিসেবেই ধরে নিতে পাঠককে অনুরোধ জানাই )

পাশ্চাত্য সাহিত্য ও রবীন্দ্রনাথ


মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
লন্ডনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ১৯২১

বিশ্ববিহারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৭৮ সালের অক্টোবরে প্রথমে ব্রিটেনে যান। সেবার সেখানে তিনি মাস চারেক ছিলেন। এরপর তিনি ১১১২ বার ব্রিটেনে যান। আমেরিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, আর্জেন্টিনা, কানাডা এবং ইউরোপের ফ্রান্স, হল্যান্ড, বেলজিয়াম, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, চেকোস্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, হাঙ্গেরি, বুলগেরিয়া গ্রিসে কবি ভ্রমণ করেন। কোনো কোনো দেশে একাধিকবার।

ইউরোপের সাহিত্য শুধু পাঠ নয়, কবি ভিক্তর উগো, শেলি, আর্নেস্ট মায়ার্ন, অদ্রে দ্য ভের, পিবি মার্সন, মুর, মিসেল ব্রাঙনিং, ক্রিস্টিনা রসেটি, সুইনবার্ন, হুড, টি এস এলিয়ট এবং জার্মান ভাষায় হাইনরেখ হাইনে গ্যেটের কিছু লেখার অনুবাদ করেন।

রবীন্দ্রনাথের রচনা পরবর্তীকালের একাধিক নোবেল বিজয়ীইয়েটস, রঁমা রল্যা, আঁদ্রে জিদ, জেনোভিয়া ইমেনেজ, আইভান বুনিন ওস্যঁ-জন পার্স অনুবাদ করেন।
১২৯৪ সালের বৈশাখেসাহিত্য সভ্যতা বলেন, ‘দূর হইতে ইংলন্ডের সাহিত্য সভ্যতা সম্বন্ধে কিছু বলা হয়তো আমার পক্ষে অনধিকার চর্চা। বিষয়ে অভ্রান্ত বিচার করা আমার উদ্দেশ্য নয় এবং সেরূপ যোগ্যতাও আমার নাই। 

রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর প্রেমিকারা

রবীন্দ্রনাথের প্রেম, রবীন্দ্রনাথের নিঃসঙ্গতা

শনিবারের চিঠি উৎসর্গ: শনিবারের চিঠির প্রেমিকাদের , যাঁরা কবিতার মতোই নান্দনিক এবঙ নিঃসঙ্গতার মতোই শাশ্বত।

রবীন্দ্রনাথ প্রসঙ্গে একটি ধারাবাহিক লেখার সূচনা করেছিলাম ১৪১৮ সালে, রবীন্দ্র মহাপ্রয়াণ দিবসের প্রক্কালে; ইচ্ছে ছিলো রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লেখা পুরোটা শেষ করবো এবঙ বেশ তৃপ্তিবোধ করবো, আলোড়িত হবো এই ভেবে যে- আমি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখেছি, এবঙ প্রশ্ন করেছি তাঁকে, চেষ্টা করেছি তাঁকে বিব্রত করে তোলবার এবঙ শেষ পর্যন্ত আমি সুখী হয়েছি, আমার রক্তকণিকাগুলো হীরকখণ্ডের মতো দীপ্তি ছড়িয়ে সুখী হয়েছে। আমি এবঙ আমার সত্তা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কাজ করেছে। কিন্তু করা হয়নি সেটা। মহাপ্রয়াণের সুর মহামহিমায় সরোদে তোলা ছিলো- হয়তো এই দিনটির জন্য, এই সময়টির জন্য- পঁচিশে বৈশাখের কয়েকদিন আগের এই মুহূর্তটির জন্য। ১৪১৮ এর শনিবারের চিঠি বদলে গেছে, সবাই বদলায়, তখনকার চেয়ে এখন হয়তো আরও একটু এগিয়েছে শনিবারের চিঠি, কিঙবা পিছিয়েছে- অতএব তখনকার বোধ কিঙবা আবেগের সাথে এখনকার উপস্থাপনা না-ও মিলতে পারে।

সাহিত্যে রিয়ালিজম বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ও জগদীশ গুপ্ত

বাংলাসন ১৩৩৪-এ শ্রীজগদীশচন্দ্র গুপ্তের গল্পের বই  ‘বিনোদিনী’ প্রকাশিত হইলে শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রংশসা করছিলেন  “ছোটগল্পের বিশেষ রূপ ও রস তোমার লেখায় পরিস্ফুট দেখিয়া সুখী হইলাম” বইলা। এর প্রেক্ষিতে জগদীশ গুপ্ত ১৩৩৮-এ ছাপা হওয়া তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘লঘু-গুরু’র এক কপি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুররে পাঠান। বই পইড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এইটা নিয়া পরিচয় পত্রিকায় লিখেন। জগদীশ গুপ্তের উপন্যাসরে ভিত্তি কইরা তিনি সাহিত্যে অতি-রোমাণ্টিসজমের বিপরীতে অতি-রিয়ালিজমের সমালোচনা করেন। বাস্তবতা কী এবং কতোটা সাহিত্যে অ্যাকোমোডেড করা উচিত, এই বিষয়ে উনার মতামত দেন। জগদীশ গুপ্তও এই সমালোচনার একটা উত্তর করেন এর পরের বছর, তাঁর ‘উদয়-লেখা’ গল্প-সংকলনের (বাংলা ১৩৩৯) ভূমিকায়। উনারা দুইজনেই রিয়ালিজম/রিয়ালিস্টিক শব্দটাই লেখেন, কারণ সম্ভবত তখনো ইংরেজী ১৯৫২ সন আইসা হাজির হইতে পারে নাই।

নারীর রবীন্দ্রনাথ – শ্রেণীর রবীন্দ্রনাথ – সাহিত্যিক রবীন্দ্রনাথ

rabindranath-tagore-1

রবীন্দ্রনাথ : সরলীকরন, ভুলবোঝা এবং আরো

*রবীন্দ্রনাথের নোবেল নিয়ে বিতর্ক কেন?  
*রবীন্দ্রনাথ কি সাম্রাজ্যবাদের পক্ষের লোক?
*কী ছিল তাঁর জাতীয়তাবাদী ভাবনা। 
*ভ্রমণ ও চিঠিপত্রের রবীন্দ্রনাথ কেমন?