গল্প-আলোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গল্প-আলোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

জীবনানন্দের গল্পের নিরানন্দ জীবন

ফারুক মঈনউদ্দীন

জীবনানন্দ দাশের গল্প বা উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য উন্মোচন করতে গিয়ে সবচেয়ে বড় যে বিষয়টা ধরা পড়ে সেটি হচ্ছে, তাঁর রচনাগুলো প্রায়ই আত্মজৈবনিক উপাদান এবং দাম্পত্য ও দাম্পত্যবহির্ভূত সম্পর্কের টানাপোড়েনে, প্রেম-অপ্রেমে—দাম্পত্যক্লান্ত নর-নারীর অতৃপ্ত জীবনের যন্ত্রণায় বিধুর। অসফল প্রেম, অতৃপ্ত দাম্পত্য, বেকারত্ব ও দারিদ্র্য তাঁর গল্পগুলোকে পৌনঃপুনিকতায় ক্লান্ত করলেও পাঠক তাঁর জীবনবেদনার আরেকটি দিকের সন্ধান পান, যা সাধারণত জীবনীকারেরাই দিতে পারেন।

ছোটগল্প ও আগামীর জীবনানন্দ দাশ

বদরুল হায়দার 


জীবনানন্দ দাশ মূলত কবি। বাংলা আধুনিক কবিতার জনক হিসেবে তার কবিতা 

যেভাবে মহীয়ান ও চিরভাস্বর, তেমনি গল্পও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী।


জীবনানন্দ দাশ আধুনিক কবিদের মধ্যে অন্যতম। জনপ্রিয়তার নিরিখে সমালোচক ও বিদগ্ধ পাঠকের দৃষ্টিতে শ্রেষ্ঠ কবি। নিঃসঙ্গতার কবি হিসেবে জীবনানন্দ দাশ প্রকৃতির রূপবৈচিত্র্যের অন্তরালে বাস করেছেন এবং খুঁজে নিয়েছেন সুপ্ত আনন্দ-বেদনাকে। রবীন্দ্র বলয়মুক্ত কবিতা নির্মাণের পাশাপাশি জীবনানন্দ দাশ বাংলা ছোট গল্পেও অনবদ্য স্বাক্ষর রেখেছেন। জীবনের অন্বেষণ করতে গিয়ে শুধু কবিতাই লেখেননি, একাধারে গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন।

শহীদুল জহিরের গল্প

আবদুল মান্নান সৈয়দ

৭২ বছর বয়সে তরুণদের লেখা আর পড়া হয় না তেমন। উপায় নেই। তবু বছর কয়েক আগে তরুণদের কিছু গল্প-উপন্যাস পড়তে হয়েছিল। এদের কারো কারো নতুনত্ব আছে। একটি বিষয় লক্ষ্য করে অবাকই হয়েছিলাম, এদের অনেকেই সৈয়দ ওয়ালীঊল্লাহর ধারাবাহিকতায় পুষ্ট ও বর্ধিত হচ্ছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে যার লেখা আমাকে বিষ্মিত ও আশান্বিত করেছিল তিনি হচ্ছেন শহীদুল জহির। এতেও একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম, আমাদের সমসাময়িক বন্ধু প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং অন্য বহু গুণে গুণান্বিত হায়াৎ মামুদও শহীদুল জহিরের লেখা পছন্দ করেছিলেন। যে বইটি আমাদের দু'জনেরই পরস্পরের অজ্ঞাতসারে ভালো লেগেছিল, সেটি হচ্ছে শহীদুল জহিরের গল্পগ্রন্থ 'ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প'।

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছোটগল্প পোস্টমাস্টার

বাংলা ছোটগল্পের সূচনা পর্বের একজন গল্পকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের একযুগ পরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং গল্পরচনার সূচনাও করেন কবিগুরুর একযুগ পরে। তিনি রবীন্দ্রযুগের গল্পকার, যদিও রবীন্দ্র-গোত্রের শিল্পী নন। আসলে রবীন্দ্র পরবর্তী যুগের সাহিত্যিক বলতে সাধারণত কল্লোল যুগের কবি-কথাকারদের বোঝায়। প্রভাতকুমার কল্লোলের শিল্পীদের চেয়ে অনেক জ্যেষ্ঠ ছিলেন।

প্রশান্ত মৃধার গল্প : দক্ষিণের নোনামাটি-জলহাওয়া

উলুখাগড়া’য় প্রকাশিত প্রবন্ধ
লেখক পরিচিতি : খোরশেদ আলম, গল্পকার, প্রাবন্ধিক 
পেশা : শিক্ষকতা, বাংলা বিভাগ, 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

‘কুহক বিভ্রমে’র শিল্প-শৈলে আঞ্চলিক মুখ


উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী রংপুর জেলা সংসদের
মৃত্তিকা পত্রিকায় লেখাটি প্রকাশিত 
শুধু কথাশিল্প নয় বরং যে-কোনো শিল্পেই তাঁর নির্মাতাকেই নতুন ধরনের কিছু খোঁজ করতে হয়। নিরন্তর এক অন্বেষণ-প্রক্রিয়াই শিল্পীকে প্রাতিস্বিক করে তোলে। সমকালের শিল্প কতটা অগ্রবর্তী তাও তাঁকে জানতে হয়। এমনকি জানতে হয় প্রতিবেশি রাষ্ট্রসহ বিশ্বসাহিত্যের কলরোল। ভাবনা-জটিল বিশ্বের তাবৎ খবরাখবর রেখেই শিল্পী তাঁর সতর্ক পা ফেলেন শিল্পজগতে। বর্তমানকাল তাই শিল্পীকে আরো কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছুড়ে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ কথাশিল্পীর ক্ষেত্রে আরো বেশি প্রযোজ্য। কথার কারবারি যেহেতু তিনি, ফলে কথাকে দুমড়ে-মুচড়ে প্রকাশের অভিনবত্ব দেখাতে হয় তাঁকে। বাস্তবতাকে ভাষার নতুন শৃঙ্খলে বাধতে হয়। তবেই তিনি স্বীয় কালের গতিকে অব্যাহত রাখতে পারেন।

কথাশিল্পী হিসেবে প্রশান্ত মৃধার জন্ম এমনি একটি কালে যখন বড় বড় অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ শিল্পীকে নতুন নতুন আঙ্গিক অন্বেষণে আপনা আপনি বাধ্য করছে।