পোস্টমডার্ন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
পোস্টমডার্ন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মডার্ন আত্মপরিচয় , পোস্টমডার্ন আত্মপরিচয়

images (14)
মলয় রায়চৌধুরী
সনাতন সমাজে মানুষের পরিচয় ও আত্মপরিচয়, নানা গাল-গল্প, অতিকথা, কাব্য, লোককথা থেকে ধারণা হয়, ছিল স্হির, অপরিবর্তনীয়, দৃঢ় এবং বলিষ্ঠ। পূর্বনির্ধারিত সামাজিক ভূমিকা এবং সমাজ-সংসারে ব্যক্তির স্হান নির্ণয়কারী ধার্মিক বিধিনিষেধ ইত্যাদির দ্বারা গঠিত ছিল তার আত্মপরিচয়। জীবনব্যাপী ওই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করত তার চিন্তা ও আচরণ। জাত, ধর্ম, সম্প্রদায় তাকে যে গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করে রাখত, তার মধ্যেই সে জীবনযাপন করত। অর্থাৎ জীবন-পরিসরের মর্মার্থ আগে থাকতে বাঁধা ছিল। প্রাগাধুনিক আলোচকরাও চরিত্র বিশ্লেষণের একটি সুনিদর্দিষ্ট অনুশাসন চাইতেন। সমাজে ও দর্শনে, পরিচয় ও আত্মপরিচয় ছিল সমাধানযোগ্য, বিতর্কবর্জিত ও মীমাংসিত। ভাবাই যায় না যে, তদানীন্তন কাব্যপ্রণেতা এবং তাঁদের প্রণিত চরিত্রেরা আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ভুগছেন। আলোচকরা সরল মনে বলতে পারতেন যে, অমুক চরিত্রটি ফোটেনি। কিংবা কাব্যপ্রণেতাকে লেবেল মেরে দিতে পারতেন কোনও একটি বিশেষ রসের কবি হিসাবে। ... বিস্তারিত পড়ুন

মডার্ন আত্মপরিচয় , পোস্টমডার্ন আত্মপরিচয়

উত্তর-আধুনিকতা

উত্তর-আধুনিকতার ইংরেজি প্রতিশব্দ postmodernism শব্দটি ১৮৭০ সাল থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে থাকে।প্রথম ব্যবহার করেন জন ওয়টকিনস চ্যাপম্যান নামে এক শিল্পী।

এরপর জে,এম থমসন ধর্মীয় বিশ্বাসকে সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি এ শব্দটি ব্যবহার করেন। ধারণাটি তার তার উদ্ভব থেকেই জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বিতর্ক এর সাধারণ সঙ্গী। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর পাশ্চাত্য চিন্তায়, বিশেষ করে দর্শন, ইতিহাস লিখন, সাহিত্য, চিত্রকলা, সমালোচনায় উত্তর আধুনিকতা গত কয়েক শত বছরের জ্ঞানকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম হয়েছে।

অভিঘাতে উত্তর আধুনিকতা ও বিশ্বায়নের দ্বন্দ্ব

অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত হল ‘অকুলার’-এর সম্মেলক প্রদর্শনী।মৃণাল ঘোষ
 দলটির নাম ‘অকুলার’। বাংলায় যার অর্থ দৃশ্য, চাক্ষুষ বা প্রত্যক্ষ। দৃশ্যকলার মূলগত প্রত্যয়টি ধরা আছে এই নামের মধ্যে। পাঁচ জন তরুণ শিল্পী একত্রিত হয়ে গড়ে তুলেছেন এই ‘দল’। ২০০৯ সাল থেকে সম্মিলিত ভাবে তাঁরা প্রদর্শনী করে আসছেন। তাঁদের প্রকাশের দর্শনগত ভিত্তি তাঁরা অধিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন পোস্ট-মডার্ন বা উত্তর-আধুনিক ‘কনসেপ্ট’ বা ভাবনার উপর।

পোস্টমর্ডানিজম

পোস্টমর্ডানিজমের শুরু সেখান থেকে, যেখানে এসে বাস্তবতার দর্পনে ক্লাসিসিজম, রিয়ালিজম আর রোমান্টিসিজম বাকহারা হয়ে পরে। পোষ্টমর্ডানিজম মানে প্রচলিত সাহিত্য থেকে নজর সরিয়ে এমন এক সৃষ্টির সন্ধানে ধেয়ে যাওয়া যেখানে খুলে যাবে মুক্ত চিন্তার শত রুদ্ধদ্বার, দ্যুতি ছড়াবে ভাষার সাধারন শব্দ ভান্ডার, যোগাযোগ বাড়বে কবিতার সাথে পাঠকের, কবির এবং কবিতার।

উত্তরাধুনিকতা, নৃবিজ্ঞান এবং রাজনীতি

১৯৬০ সালের শেষ দিকে যখন নতুন সম্পর্ক এবং নতুন স্বর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে প্রবেশ করেছিল তখন রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞানে আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের উদ্ভব হয়েছিল । একই সাথে ৬টি উদাহরন বা নমুনা বের হয়ে এসেছিল যা স্বার্থক ভাবে উপপর্যায়ের সাথে আন্তঃসম্পর্কিত। এই ৬টি প্যারাডাইম হচ্ছে নব্যবিবর্তনবাদ ,ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক তত্ত্ব, রাজনৈতিক অর্থনীতি, কাঠামোবাদ, ক্রিয়া তত্ত্ব, পদ্ধতিগত তত্ত্ব। ৩য় বিশ্বের রাজনৈতিক সংগ্রাম প্রসংগে বলা যায় যে, ঔপনিবেশিকতাবাদ থেকে বেরিয়ে আসা এবং নতুন জাতির স্বীকৃতি সামাজ্যবাদ এবং নব্যসামাজ্যবাদ গঠন করে যাকে অর্থনৈতিক সামাজ্যবাদ বলা হয় যা উপপর্যায়ের সাথে জড়িত ছিল ।

ম্যাজিক রিয়ালিজম

ম্যাজিক রিয়ালিজম কী জিনিস?

“যখন অপ্রত্যাশিত বাস্তবতার পরিবর্তন (অলৌকিক) থেকে উঠে আসে তখন চমৎকার নির্ভুলভাবে চমৎকার হতে শুরু করে”
- আলেহো কার্পেন্তিয়ার, ১৯৪৯

ফুকোরে ভুলে যান (পার্ট ১)


ফুকোরে ভুলে যান।। জ্যাঁ বদ্রিয়াঁ।।
ভূমিকা এবং ইন্টারভিউ: সিলভেরি লটরিঙ্গার।

ফুকোরে ভুলে যান (পার্ট ২)


জঁ বদ্রিয়াঁ
জঁ বদ্রিয়াঁ

উত্তরাধুনিকতাবাদ : মহান আখ্যান থেকে ক্ষুদ্র উপাখ্যান

রাশিদ আশকারী

উত্তরাধুনিকতাবাদ (Postmodernism)  সমকালীন চিন্তাজগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটি শব্দ। একটি বহু-বিতর্কিত অভিধা। স্তুতি, নিন্দা, সমর্থন, অসমর্থন নির্বিশেষে উত্তরাধুনিকতাবাদ একটি বিপুল আলোচিত/সমালোচিত তথা বিতর্কিত একাডেমিক প্রপঞ্চ। অতি অল্পসময়ে বিষয়টি এতো প্রচার ও প্রসার পেয়েছে যে তার সাথে একমত কিংবা দ্বিমত পোষণ করা সহজ, কিন্তু তাকে অগ্রাহ্য করা সহজ নয়। 

পোস্টমডার্ন কবিতা কেমন?

আলী আফজাল খান


শব্দের বিন্যাস এবং শব্দচয়ন পোস্টমডার্ন কবিতায় জটিল বা বুঝতে অসুবিধা হয়। কবিতায় অ্যাখানটি চেতনার প্রবাহ হিসাবে এমন স্টাইলে লেখা হয় যেন তা চিন্তার অনুগামী কিংবা বক্তার এমন শব্দমালা যা পাঠকের বিবেচনায় নির্মিত হয় না। কাজটি ইচ্ছাকৃত যা পাঠককে মনে করিয়ে দেয় সে কবিতার বাইরে এবং তাই দেখছো যা কবি তাকে দেখাতে চেয়েছেন। এই ধরনের কবিতা পাঠে অর্থ উদ্ধার করতে গেলে পাঠক বোকা বনে যেতে পারেন, যা আসলে কবি এবং দর্শকের পার্থক্যকেই প্রকাশ করে।