ড. আফসার আহমদ
কবির হাতের নাটক লেখা হলে নাটকের ভাষা ও চরিত্র বদলে যায়। নাটক তখন শুধু বস্তুগত জীবনের ভাষাচিত্র হয়ে থাকে না, তা হয়ে ওঠে জীবনের কাব্যরূপ। কাজী নজরুল ইসলামও তেমনি যেসব নাটক রচনা করেছেন তাতে জীবনের হুবহু অনুকরণ ঘটেনি; তা হয়েছে জীবনের ব্যাখ্যা। আর এই ব্যাখ্যা কাব্যের অনুপম ব্যঞ্জনায় সমৃদ্ধ হয়ে জীবনকে প্রতীকায়িত করেছে। নজরুলের লেখা সব নাটক তাই ভিন্নার্থে আলোচনা হওয়া দরকার। অর্থাৎ আমাদের মতে, নজরুলনাট্যের একটি পুনঃপাঠ তৈরি হওয়া প্রয়োজন নতুন কালের নাট্যভাবনার নিরিখে। আর এ কথা সত্য যে, নাটক কিংবা কাব্যরস আস্বাদন কালনিরপেক্ষ হয়ে ওঠে শাশ্বতকালের আবেদন যখন শিল্পভাবনায় তুঙ্গস্পর্শী থাকে। সেদিক থেকে নজরুল বাংলা নাট্য রচনার ধারায় হাজার বছরের বাংলা নাট্যের সঙ্গীতময়তাকে আধুনিককালের প্রেক্ষাপটে দাঁড় করাতে পেরেছেন। কারণ নজরুলের নাটকের ভাষা গীত ও কাব্যের যুগলবন্দি রূপ।