সিম্বলিজম/প্রতীকবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সিম্বলিজম/প্রতীকবাদ লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বিষাদের ফুল : ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ার


খাতুনে জান্নাত 

বিষাদের ফুল : ফরাসি কবি শার্ল বোদলেয়ারউনিশ শতকের ফরাসি তথা বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম সেরা কবি শার্ল বোদলেয়ার; কবি র্যাঁবোর ভাষায়, ‘প্রথম দ্রষ্টা, কবিদের রাজা, এক সত্যদ্রষ্টা কবি’। জীবনের ক্লেদ থেকে তুলে এনেছেন কবিতার কুসুম ও কাঁটা। জীবন ফুলশয্যা নয় তবুও কবিতায় বিছিয়ে দেওয়া সৌন্দর্যের আবির ও রূপের অনন্য শ্রী ও কল্পনার ময়ূরপক্সক্ষী একজন মানুষের মধ্যে আসা এসব রোমান্টিকতাকে কীভাবে আরও ব্যাপ্তিময় এবং সৌন্দর্যমণ্ডিত করা যায় সেটা শার্ল ভাবতেন। তার কবিতা শৈল্পিক ও গভীর ভাবের দ্যোতনাসমৃদ্ধ। কবি বোদলেয়ার দুঃখ ও বেদনার অতলে নিবিষ্ট থেকে দেখেছেন জীবনের আসল রূপ ও কবিতায় বিধৃত হয়েছে জীবনরূপের অলঙ্করণ ও সত্যকথন। সৌন্দর্যকে বিশেষ উচ্চতায় তুলে নতুন এক জীবন দর্শনের বাস্তবতা বা রিয়েলিজমের অনন্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন পাঠকের জন্য।

একজন র‍্যাঁবোর কথা

ইমর



জীবন ও কবিতা

প্রতীকবাদ

শিল্প-সাহিত্যে প্রতীকবাদ

পূর্ব-প্রকাশের পর। ওপরে লিঙ্ক

...এমনকি স্বরধ্বনি ও পরিমল সব কিছুকে বিভূষিত করার জন্য প্রতীকবাদীরা ছিল অধিকতর প্রাণবন্ত। যদিও এটার মধ্যে একক বার্তার উৎপন্ন বিষয়ের চেয়ে অধিক কিছু ছিল না। কিন্তু জালের ন্যায় গঠিত উচ্চতর সংযুক্তির ভাবানুষঙ্গ ছিল। প্রতীকবাদীদের ‘প্রতীক’ রূপক বর্ণনার পরিবর্তে মনের নির্দিষ্ট অবস্থার অভীষ্টতা উপস্থাপন করতে বেশি আহ্বান করে।

স্টিফেন মালার্মে : যন্ত্রণাদায়ক পরমানন্দের কবি

স্টিফেন মালার্মেকে ফ্রান্সের প্রতীকবাদী লেখকদের শিক্ষক ও আধুনিকতাবাদের অগ্রদূত বলা হয়। তাঁর কবিতার জটিল সাংকেতিক তত্ত্ব তাঁকে সাধারণ মানুষ থেকে পৃথক করে রেখেছিল। কিন্তু তিনি তাঁর তৈরি বৃত্তের মধ্যে দারুণভাবে প্রসংশিত হয়েছিলেন। মালার্মে ঊনবিংশ শতাব্দির শেষ দিকে প্রতীকবাদী শিল্প আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন। বিংশ শতাব্দির শুরুতে শিল্পকলার অগ্রগামী অনেক স্কুল শিল্পের ধারা,ভবিষৎবাদ, শিল্প ভাস্কর্য ও সাহিত্য, পরাবাস্তববাদী চিন্তা-চেতনা ইত্যাদি তাঁর প্রতীকবাদী ধ্যানধারনা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিল।

ফরাসি কবি ও কবিতার ভাবধারা

মাইনুল ইসলাম মানিক

শিল্প ও সাহিত্যের তীর্থভূমি ফ্রান্স। এখানে শিল্প ও সাহিত্যের অসংখ্য আন্দোলন গড়ে ওঠার পর তা ছড়িয়েছে জগৎজোড়া। ফরাসি সাহিত্য তথা ফরাসি কবিতা প্রাচুর্যতাগুণে দুনিয়াজোড়া পাঠকের কাছে সমাদৃত নানা মাত্রায়। টিএস এলিয়ট বলেন,‘আমার ভেতর নিজস্ব কণ্ঠস্বর তৈরীতে যে ধরণের কবিতা পাঠ করা প্রয়োজন ছিলো, সে রকম কবিতা ইংরেজিতে ছিলো না মোটেও, ছিলো ফরাসি কবিতায়।’ কবিতা ফরাসি সাহিত্যের সুপ্রাচীন একটি শাখা হলেও মূলত ঊনবিংশ শতকের গোড়ার দিক হতে ফরাসি কবিতার স্বর্ণযুগ শুরু হয় এবং বিংশ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত তা বিরাজ করে। আধুনিক কবিতায় প্রতীকবাদ বা সিম্বলিজমের যে বহুল ব্যবহার লক্ষণীয়, তা ঐ সময়ের ফরাসি কবিদের হাত ধরেই কবিতার উঠোনে প্রবেশ করে। ফরাসি কবি গিওম অ্যাপলেনিয়ার প্রথম স্যুরিয়ালিজম বা পরাবাস্তববাদের সূচনা করেন। ইংরেজ কবিদের কাছ থেকে লাভ করা ক্লাসিসিজম বা রোমান্টিসিজমকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি তাঁরা ক্লাসিসিজম ও রোমান্টিসিজমের সমন্বয়ে এক অভিনব ধারাও সূচনা করেন। এলিয়টের হাত ধরে বিশ্বব্যাপী মুক্তছন্দের বিস্তার ঘটলেও মূলত ফরাসি কবি জ্যুল লাফর্গ প্রথম মুক্তছন্দের সূচনা করেছিলেন। এছাড়াও এসময় ন্যাচারালিজম, কিউবিজম, অর্ফিজমসহ অসংখ্য আন্দোলন গড়ে ওঠে। এভাবেই ফরাসি কবিতার হাত ধরে বিশ্বময় কবিতায় আসে বহুমাত্রিক প্রাচুর্যতা।

শিল্প-সাহিত্যে প্রতীকবাদ

মুহম্মদ সালাহউদ্দীন

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে ফ্রান্সের চিত্র আন্দোলন, রাশিয়া ও বেলজিয়ামের কবিতা ও অন্যান্য শিল্প_সংস্কৃতির উৎস ছিল প্রতীকবাদ। ১৮৫৭ সালে শার্ল বোদলেয়ার তাঁর প্রথম প্রকাশনা 'লেচ ফ্লিয়ার্স ডু মাল' (দি ফ্লাওয়ার্স অব ইভিল) গ্রন্থের মাধ্যমে ফ্রান্স সাহিত্যে এ ধারার রচনাশৈলী সৃজন করেন। ওই গ্রন্থের কবিতাগুলি ছিল অবক্ষয় ও নান্দনিক কামজভাব সম্পর্কিত। বোদলেয়ার এডগার এলেন পোর রচনাগুলোর ব্যাপক প্রশংসা করেছিলেন। তিনি তাঁর অনেক রচনা ফ্রান্স ভাষায় অনুবাদ করেন। সেগুলি ব্যতিক্রমধর্মী আবেগ ও চিত্রের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল। ১৮৬০ থেকে ১৮৭০ সালের মধ্যে প্রতীকবাদের নান্দনিকতাকে স্টেপেন মালার্মে ও পল ভারলেইন উচ্চমাত্রায় নিয়ে যান। ১৮৮০ সালের পর থেকে তাদের ধারাক্রম অনুসারে ওই প্রজন্মের অনেক লেখক এ তত্ত্বের প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন। প্রখ্যাত সমালোচক জিন মরিস শিল্প ও সাহিত্যে অবক্ষীয়মানের সাথে প্রার্থক্য নির্দেশ করার জন্যে 'প্রতীকবাদ' শব্দটি আবিষ্কার করেন।