মূল
: অক্টাভিও পাজ
ভাষান্তর
: রায়হান রাইন
বিকাল তিনটার সূর্যের নিচে রাজপথ ধরে কুড়ি মিনিট
হাঁটার পর শেষটায় বাঁকে পৌঁছলাম। ডানে মোড় নিয়ে উঠতে শুরু করলাম ঢাল বেয়ে। মাঝেমধ্যে
রাস্তার ধারের গাছগুলো মৃদু শীতলতা দিচ্ছে। লতাগুল্মের ভেতর একটা ছোট ঝর্নায় গিয়ে মিশে
যাচ্ছে জল। আমার পায়ের নিচে চিক চিক করছে বালি। সর্বত্রই সূর্যালোক। বাতাসে পিপাসা,
উষ্ণ বেড়ে ওঠা, আর সবুজের গন্ধ। না একটা গাছ না পাতা, কিছুই নড়ছে না। নীল, তরঙ্গহীন
উপসাগরে কিছু মেঘ ভারি হয়ে নোঙর ফেলে আছে। একটা পাখি গেয়ে উঠল। আমি দ্বিধাগ্রস্ত হলাম:
“এই এলমের নিচে সটান শুয়ে পড়তে পারলে কী চমৎকার হয়!
ওই মৃদু জলশব্দ সব কবির শব্দাবলির চেয়ে মূল্যবান।” আমি আরও দশ মিনিট হাঁটলাম। যখন
খামার বাড়িটাতে পৌঁছলাম কিছু সুদৃশ্য-চুলের ছেলেমেয়ে একটা বার্চ গাছকে ঘিরে খেলছিল।
তাদের খেলায় বাধা না দিয়ে কর্তাব্যক্তিটির কথা জিগ্যেস করলাম, তাদের জবাব, “ঐ
যে উপরে, কেবিনে।”