সাহিত্য-সমালোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাহিত্য-সমালোচনা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

সমালোচনা সাহিত্যের কতক কেজো প্রসঙ্গ

 মোজাফফর হোসেন

বাংলাদেশের সাহিত্যে কথাসাহিত্য-কবিতা যতটা পরিণত (mature), সমালোচনা সাহিত্য ঠিক ততটাই অপরিণত (immature)। আমরা এখনো সমালোচনা বলতে হয়ত বিশ্রীভাবে গালিগালাজ করি, নয়ত অযৌক্তিকভাবে চাটুকারিতা করি। হয় তোষামোদ নয় গালি—মোটের উপর এই হলো এখানে সমালোচনার প্রতিষ্ঠিত রীতি। গঠনমূলক সমালোচনা করতে না শিখলে কখনোই কোনো শিল্প-আন্দোলন সম্ভব নয়। প্রখ্যাত আইরিশ কবি টি.এস. এলিয়ট তাঁর ‘ট্র্যাডিশন অ্যান্ড ইন্ডিভিজ্যুয়াল ট্যালেন্ট’ প্রবন্ধে বলছেন, ‘আমাদের অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে, সমালোচনা শ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই অনিবার্য, এবং স্পষ্টত আমাদের অনুভূতি প্রকাশে দ্বিধা করা উচিত নয়, যখন কোনো বই পড়ি, তার বিষয়ে আমাদের মনে যে সব ধারণা জন্মায়, তা প্রকাশের মাধ্যমে ওইসব সমালোচনার জন্যে আমাদের মনকে সবল করে তোলা দরকার।’ [তর্জমা: হাসানআল আব্দুল্লাহ]

সাহিত্য-সমালোচনার কথকতা

indexdd-hap
হাসান অরিন্দম  
সক্রেটিস (৪৬৯-৩৯৯ খ্রি.পূ.) সেকালে তার দেশে বিজ্ঞজন বলে পরিচিতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখেন তারা আসলে যথেষ্ট বিজ্ঞ নন। তিনি যত্ন ও সতর্কতার সাথে লেখা কিছু কবিতা আলোচনার জন্য নির্বাচন করেন। পরে তিনি উক্ত কবিতাগুলোর কবিদের কাছে কবিতার ব্যাখ্যা জানতে চান। কিন্তু তাতে কবিগণ ব্যর্থ হন। এ থেকে সক্রেটিস সমালোচনা বিষয়ে একটি মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা পেয়ে যান, তা হলো : বিজ্ঞ বলেই কবিরা কাব্য রচনা করেন এমন নয়, তাদের কাব্য রচিত হয় একটি বিশেষ গুণ বা প্রতিভার দ্বারা- যা থাকে সৃজনী উন্মাদনার মূলে। বস্তুত কাব্য রচনা করার শক্তি এবং তা উপভোগ ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করবার শক্তি অনেকটা আলাদা তিন জাতের।