[কবির হাতে গল্প। তা তো কবিতার মতোই প্রহেলিকা কিংবা রহস্য। শামীম রেজার গল্পে জীবনের এই অনির্দেশ সম্ভাবনার প্রতি একটা গভীর আস্থা আছে। তিনি শুধু কাহিনি বুনন করেন না, গল্পের বাস্তবতার মধ্যে প্রবেশ করে দেন ইতিহাস আর সমকালকে। কখনো লৌকিক পুরাণ, পরনকথার বেলোয়ারি, আবার সাধারণ-অসাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল একই যাত্রায় ঘটে। সবচে বড় কথা, কেবল জীবনকে খুঁড়ে দেখা নয়, শিল্পকে খনন করতে করতে তিনি পৌঁছে যান এক অসীম নিরালোকে। শিল্পের স্ফুটনে সেখানে জন্ম নেয় এক অনাদায়ী বিশ্ব। সেই বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে করতেই আবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। আর প্রতিটি কাহিনি এক নতুন মোড়কে নতুন আবেশে আচ্ছাদিত হয়। ঠিক যেমন মেঘের বুকে কোনো চিহ্ন রাখা সম্ভব হয় না, তেমন। কেবল ঘুরপাক খেয়ে খেয়ে নতুন আকার নিতেই থাকে। যাই হোক, ‘ঋতুসংহারে জীবনানন্দ’ পাঠ এক বিস্ময়ের বেলাভূমিতে দাঁড় করায়। সেখান থেকেই প্রশ্নের জন্ম। আর সেসব প্রশ্ন থেকেই স্বয়ং লেখকের কাছেই অন্বেষণ-প্রত্যাশা। অন্যদিকে রয়েছে শীঘ্র সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশিত অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি ‘ভারতবর্ষ’। যেন আরো এক ভিন্ন আবিষ্কার। এ-আখ্যানে কথাসাহিত্যিক হিসেবে শামীম রেজা অভিনবত্বের সঙ্গে বাংলার ইতিহাস তথা উপমহাদেশীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কালপর্ব উপস্থাপন করেছেন। মনে হয়, অনেক তথ্য নথি ঘেঁটে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এখানে কল্পনার চেয়ে বাস্তব অধিকতর জ্বলজ্বলে। আর এসব জানতে ও বুঝতে আজকের এই আলাপের প্রস্তাবনা।]
সাক্ষাৎকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাক্ষাৎকার লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
একান্ত আলাপে শওকত আলী
‘মৃত্তিকালগ্ন মানুষ আজীবন আমাকে টেনেছে’ শওকত আলী
ভূমিকা ও সাক্ষাৎকার : নূর কামরুন নাহার
বাংলা কথাসাহিত্যে শওকত আলী এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। ১৯৩৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের রায়গঞ্জে তাঁর জন্ম। পারিবারিকভাবেই বেড়ে উঠেছেন রাজনীতি-সচেতন, সংস্কৃতিমনা পরিবেশে। বাবা সক্রিয়ভাবে কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। মা রাজনীতিতে পুরোমাত্রায় সক্রিয় না থাকলেও ছিলেন রাজনীতি-সচেতন। ছোটবেলা থেকেই সংস্পর্শে এসেছেন বইয়ের।
In Conversation: Speaking to Spivak
The Hindu
NOTHING BUT TRUTH: Gayatri Chakravarty Spivak. Photo: P.V. Sivakumar
Gayatri Chakravorty Spivak, considered by many to be the one of the world’s leading ‘Marxist-feminist-deconstructionists’, talks about notions of identity, her evolution as an intellectual and her present-day concerns. Excerpts from an exclusive interview...
চমস্কি ও ফুকো (লাস্ট পার্ট)

____________________
এল্ডার্স: আমি জানি না, তবে আপনি যেটা বললেন আমি সেটাকে আপনার নৃবৈজ্ঞানিক ধারণার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করছিলাম। একটু আগেই আপনার নিজস্ব সৃজনশীলতা ও স্বাধীনতা প্রসঙ্গে কথা বলতে আপনি অস্বীকার করেছেন, ঠিক কিনা? এর মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা কী হতে পারে সেটা ভেবে আমি অবাক হচ্ছি?
রবার্ট ফ্রস্ট : কবিকে দেখতে যাওয়া
মূল
: অক্টাভিও পাজ
ভাষান্তর
: রায়হান রাইন
বিকাল তিনটার সূর্যের নিচে রাজপথ ধরে কুড়ি মিনিট
হাঁটার পর শেষটায় বাঁকে পৌঁছলাম। ডানে মোড় নিয়ে উঠতে শুরু করলাম ঢাল বেয়ে। মাঝেমধ্যে
রাস্তার ধারের গাছগুলো মৃদু শীতলতা দিচ্ছে। লতাগুল্মের ভেতর একটা ছোট ঝর্নায় গিয়ে মিশে
যাচ্ছে জল। আমার পায়ের নিচে চিক চিক করছে বালি। সর্বত্রই সূর্যালোক। বাতাসে পিপাসা,
উষ্ণ বেড়ে ওঠা, আর সবুজের গন্ধ। না একটা গাছ না পাতা, কিছুই নড়ছে না। নীল, তরঙ্গহীন
উপসাগরে কিছু মেঘ ভারি হয়ে নোঙর ফেলে আছে। একটা পাখি গেয়ে উঠল। আমি দ্বিধাগ্রস্ত হলাম:
“এই এলমের নিচে সটান শুয়ে পড়তে পারলে কী চমৎকার হয়!
ওই মৃদু জলশব্দ সব কবির শব্দাবলির চেয়ে মূল্যবান।” আমি আরও দশ মিনিট হাঁটলাম। যখন
খামার বাড়িটাতে পৌঁছলাম কিছু সুদৃশ্য-চুলের ছেলেমেয়ে একটা বার্চ গাছকে ঘিরে খেলছিল।
তাদের খেলায় বাধা না দিয়ে কর্তাব্যক্তিটির কথা জিগ্যেস করলাম, তাদের জবাব, “ঐ
যে উপরে, কেবিনে।”
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)