গদ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গদ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কমলকুমার মজুমদারের অন্তর্জলীযাত্রা : নবজাগরণের অন্য ভাষ্য

 

মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায়

কমলকুমার মজুমদারের সবচেয়ে পরিচিত উপন্যাস অন্তর্জলী যাত্রা। এই উপন্যাসের বিষয় ও কাহিনি নতুন নয়, বরং সাদামাঠা। অন্তর্জলীর উদ্দেশ্যে শ্মশানে আনীত জীর্ণ বৃদ্ধ সীতারাম, কুলরক্ষার উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে বিবাহবদ্ধ সদ্যযৌবনা যশোবতী এবং শ্মশান-পরিচর্যাকারী ডোম বৈজুনাথ এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। পার্শ্বচরিত্রদে  র মধ্যে রয়েছে যশোবতীর পিতা, জ্যোতিষী, সীতারামের দুই পুত্র, কবিরাজ এবং সীতারামের কুলপুরোহিত, আর কীর্তনগায়কের দল।

ঋষি ও সংগ্রামী কো উন

অঙ্কুর সাহা

‘ইট ইজ এজইফ ব্রেথস হিজ পোয়েমস বিফোর পুটিং দেইম অন পেপার। আই ফিল দ্যাট হিজ পোয়েমস এমার্জ ফ্রম হিজ লিপস র‌্যাদার দেন হিজ পেন।’- জনৈক সমালোচকের মন্তব্য

 ॥ ১ ॥
তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের ভূমিকায় অ্যালেন গিনসবার্গ (১৯২৬-১৯৯৭) লিখেছিলেন কো উন ইজ অ্যা ম্যাগনিফিসেন্ট পোয়েট. কম্বিনেশন অব বুদ্ধিস্ট কগনোসেন্টি পলিটিক্যাল লিবারেশন অ্যান্ড ন্যাচারাল হিস্টোরিয়ান।’ তিনি কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্য সমালোচক, রাজনৈতিক কর্মী, মুখর সরকার বিরোধী এবং অবসরপ্রাপ্ত বৌদ্ধ শ্রমণ। কোরিয়ার অন্য কবি লেখকরা তাঁকে ডাকেন “কেওবং” (উতুঙ্গ পর্বশৃঙ্গ) নামে। কিন্তু তিনি পাহাড়চূড়ার নিভৃত প্রাসাদে বসবাস করেন না, তাঁর অবস্থান দেশের সাধারণ মানুষজনের সঙ্গে। তাঁর নাম বিষয়ে একটি জরুরি কথা-“কো” তাঁর পদবি বা অন্তনাম; চিন বা জাপানের প্রথামতন কোরিয়াতেও পদবি দিয়ে নামের শুরু। তাঁর জন্মের সময় প্রদত্ত নাম “উন-তে”। অর্থাৎ পুরো নাম “নে-তে”; কবিতা লেখেন “কো উন” নামে।