বই লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বই লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বই পড়ে লাভ কী

 মুরাদুল ইসলাম

বই পড়ার গুরুত্ব বই পড়ে লাভ কী?

প্রারম্ভিক

বই পড়ার গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্কুলে দুয়েকটা প্রবন্ধ পড়ানো হয়। সেখানে অনেক নীতিকথা বিদ্যমান এবং যে জাতি যত বেশী বই পড়ে সে জাতি তত বেশী উন্নত এরকম কথা থাকে। কিন্তু এই ধরনের কথায় এখানকার ৯০ ভাগের উপরে মানুষ বিশ্বাসই করেন না বলে মনে হয়, আর নয় ভাগ অবিশ্বাসী ভঙ্গিতে এই ধরনের চিন্তা পাশে সরিয়ে রাখেন। এবং ধরা যেতে পারে মাত্র এক ভাগ এই ধরনের কথায় সত্যি সত্যি বিশ্বাস করেন।

অর্থাৎ, বই পড়ানোর শিক্ষা নীতিশিক্ষামূলক অবস্থানেই রয়ে গেছে। কার্যক্ষেত্রে তার প্রয়োগ হয় নাই। মানুষ এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন নাই। অতএব, সেই শিক্ষাটি ব্যর্থই হয়েছে।

আল মাহমুদের সোনালি কাবিন

ভাষার শপথ আর প্রেমময় কাব্যের শপথ

সকালগুলো এখন বেশ তরতাজা। ঝকঝকে রোদ। শরৎকালীন নানা ফুলের সুবাস। মন বেশ ফুরফুরে থাকে এসময়। দূর এক গ্রামে স্কুলে পড়াই। এখন মাঠভরা আধকাঁচা ধান। বেশ খানিকটা যেতে হয় লাল মোরাম ধরে। গোলদীঘি। তালগাছ আর বিস্তৃত সবুজ শস্যভরা মাঠ। রাতের হিম লেগে থাকে ধানের শিসে। বাতাসে মৃদু দোলে। কঠোর শহর থেকে এখানকার বাসস্টপে পা রাখলে চোঁখ জুড়ায়। এসময়ে গাঁ-দেশ অদ্ভুত সুন্দরী।বেঁচে আছে গ্রাম, তার দারিদ্র, অভাব অনটন নিয়ে, তার সরল সৌন্দর্য নিয়ে, তাই কখনো কখনো নাগরিক ক্লান্তির পরে কোন জমির আইলে শুধু চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকি।

নাসরীন জাহানের ‘নেচে ওঠে আদমের সাপ’

নিয়তিক্রান্ত মানুষের সমাচ্ছন্ন কথাকল্পতরু

জীবন বৈচিত্র্যময়। জীবনের আগাপাছতলায় কখন কোথায় কীভাবে ভূতপূর্ব কিংবা অভূতপূর্ব স্বাভাবিক আচরণের পাশাপাশি মাথা তুলে জানান দেয় অপার্থিব আধ্যাত্মিক, তা অনেক সময়ই মস্তিষ্কের সুতোয় বাঁধা ফাতনায় ধরা দেয় না। নাসরীন জাহান স্পর্শকাতর পর্যবেক্ষণে তুলে নিয়ে আসেন অব্যাখ্যেয় রহস্যঘেরা গল্পসূত্র। নেচে ওঠে আদমের সাপসেই ধারাবাহিকতায় আরেকটি সংযোজন। এই গ্রন্থের বেশিরভাগ গল্পই আবর্তিত হয়েছে মৃত্যু ঘিরে। যা স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক নিকৃষ্ট অপমৃত্যু হিং¯্র সাপের মতো নেচে উঠে উঠে চরিত্রগুলোকে দংশন করে আঁধারে ঠেলে দিলেও লেখক হতাশ হননি কোথাও।

শাহীন আখতারের শিস ও অন্যান্য গল্প

শিস দিয়ে যাই : মুবিনুর রহমান

অধুনা কিছু কিছু মানুষের চিন্তার সুতোয় ধীরে ধীরে পাক খাচ্ছে মানুষ হিসেবে নারীর সম্মান মর্যাদার মৌলিক দর্শন। পরিবার থেকে সমাজে ধ্বনিত হচ্ছে নারী পুরুষের মার্জিত অবস্থানের সাম্যগীতি। অথচ কয়েক বছর আগেও চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত। নারী সম্পর্কে স্টেরিওটাইপ দৃষ্টিভঙ্গির শেকড় বিস্তৃত ছিল অনেক গভীর পর্যন্ত। সময়ের আবর্তে বদলেছে সাহিত্যপাঠ, সাহিত্যিকদের ভাবনা সংবেদশীলতার মাত্রা।

তিতাস একটি নদীর নাম : বাস্তুচ্যুত শিল্পীর যন্ত্রণা

খোরশেদ আলম

অদ্বৈত মল্লবর্মণ দেখিয়েছেন- মানুষের জীবনের বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও অমোঘ প্রকৃতি ও প্রবহমান কালের সত্য তার ট্র্যাজিক জীবনের মূল। এই ট্র্যাজেডি আবার ব্যক্তিমানুষের একার নয়; সমগ্র সমাজব্যাপী এক নিরুচ্চার সত্যের প্রতিনিধিত্ব করে সে ক্রমশঃ ব্যক্তিমানুষেরই বেদনায় অভিষিক্ত। অবশ্য ব্যক্তিজীবনের বোধ এ-উপন্যাসে থাকলেও তা ব্যক্তিসর্বস্ব হয়ে ওঠে না। মধ্যবিত্তিক জীবন কাঠামোর বাইরে তা এক নিরেট বাস্তবতার প্রতিচ্ছায়া। নিম্নজীবী মানুষের কণ্ঠস্বরকে বাহ্যিক অর্থে নয় বরং অভিজ্ঞতার আলোকে শিল্প রচনার এক অনুভবী বাস্তবতার নাম তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাস।