১৯৬১ সালে হাংরি আন্দোলনের প্রথম ইশতাহারটি প্রকাশিত হওয়ামাত্র দর্পণ, জনতা, জলসা ইত্যাদি হালকামেধা পত্রিকাসহ অমৃত, দৈনিক বসুমতী, দৈনিক যুগান্তর-এর মতন বহুগ্রাহ্য পত্রিকার পাশাপাশি বাংলা ভাষাসাহিত্যের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক হাংরি, অ্যাংরি এবং বিট, তিনটি বিভিন্ন দেশের ঘটনাকে এমনভাবে উল্লেখ ও উপস্হাপন করতেন, যেন এই তিনটি একই প্রকার সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তি, এবং তিনটি দেশের আর্থসামাজিক কাঠামো, কৌমসমাজের ক্ষমতানকশা, তথা ব্যক্তিপ্রতিস্ব নির্মিতির উপাদানগুলো অভিন্ন । পত্র পত্রিকার লেখক ও সাংবাদিকরা ক্রেতা সুড়সুড়ির কথা মাথায় রেখে এই ধরণের মন্তব্য করতেন, কেননা অ্যাংরি ইয়াং ম্যান ও বিটদের সম্পর্কে বহুবিধ গুলগল্প ততদিনে পৃথিবীময় চারিয়ে দিতে সফল হয়েছিল ইউরোপ আমেরিকার ক্ষমতার মিডিয়ে, যখন কিনা বঙ্গসংস্কৃতির মাঝে আচমকা এসে-পড়া হাংরি আন্দোলনকে মূর্ততা দেবার জন্য বাঙালির ইতিহাস থেকে কোনো সমান্তরাল ঘটনা তাঁরা দ্রুত খুঁজে পাননি ।
হাংরি জেনারেশন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হাংরি জেনারেশন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হাংরি আন্দোলন
হাংরি আন্দোলন প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা ছিল
সুবিমল বসাক,, দেবী রায় ও মলয় রায়চৌধুরীর কিছু কিছু কার্যকলাপের কারণে ১৯৬৩ সালে শেষের দিকে হাংরি আন্দোলন বাঙালির সংস্কৃতিতে প্রথম প্রতিষ্ঠানবিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত হয়েছিল । বহু আলোচক হাংরি আন্দোলনকারীদের সে সময়ের কার্যকলাপে ডাডাবাদের প্রভাব লক্ষ করেছেন ।এই কারণে শক্তি চট্টোপাধ্যায়,, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়,, সতীন্দ্র ভৌমিক ও আর অনেকে হাংরি আন্দোলন ত্যাগ করে । শ্মশান,, গোরস্তান,, ভাটিখানা,, আওড়া এবং শেয়ালদা স্টেশনে তাঁরা কবিতা পাঠের আয়োজন করেছিলেন । মুখোশ খুলে ফেলুন লেখা জীব-জন্তু,, দেবতা,, দানবের মুখোশ পাঠাতেন মন্ত্রী,, সমালোচক,, এবং প্রশাসকদের কবিদের সমালোচনা করতেন বিবাহের কার্ডে।
হাংরি সাহিত্য, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা
হাংরি সাহিত্য, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা : মলয় রায়চৌধুরী যিনি নিজেকে বলেছেন 'কালচারাল বাস্টার্ড'
বাংলা সাহিত্যে হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের প্রভাব
অভিজিৎ পাল
বাংলা সাহিত্যে হাংরি জেনারেশন আন্দোলনের প্রভাব : অভিজিৎ পা
বাংলা সাহিত্যে ষাটের দশকের হাংরি জেনারেশনের ন্যায় আর কোনও আন্দোলন তার পূর্বে হয় নাই । হাজার বছরের বাংলা ভাষায় এই একটিমাত্র আন্দোলন যা কেবল সাহিত্যের নয় সম্পূর্ণ সমাজের ভিত্তিতে আঘাত ঘটাতে পেরেছিল, পরিবর্তন আনতে পেরেছিল। পরবর্তীকালে তরুণ সাহিত্যিক ও সম্পাদকদের সাহস যোগাতে পেরেছে ।
"হাংরি আন্দোলন" ও হাংরি আন্দোলনের কবি
সোমনাথ দত্ত
পাঠকের 'পা' তে আছি এখনো, লেখকের 'ল' তেও নেই
পারমিতাদির প্রশ্নের অনুরোধে উত্তর দিতে পারাটা নিঃসন্দেহে দারুণ সৌভাগ্যের ব্যাপার, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। কিন্তু ব্যাপারটা হল, এই উত্তরটা আমি একটু নিজস্ব ভঙ্গিতে দিতে চাই, মানে, নিজের দৃষ্টিভঙ্গি, নিজের মতবাদ সব মিলিয়ে মিশিয়ে। আমার যেভাবে উচিত মনে হয়েছে, ঘটনাগুলোকেও সেভাবেই উপস্থাপিত করছি।এই মতামতের সাথে হয়তো অনেকে একমত নাও হতে পারেন, সেক্ষেত্রে সবার নিজস্ব ধারণা বা নিজস্ব তত্ত্ব সম্বন্ধে জানাতে অনুরোধও করছি, অবশ্যই যুক্তিপূর্ণ ব্যাখ্যার মাধ্যমে।
হাংরি আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাববিশ্ব
সমীর রায়চৌধুরী
প্রথম পঞ্চবার্ষিক যোজনায় ( ১৯৫১-৫৬ ) কৃষি, সেচ, পথঘাট নির্মাণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দিকে জোর দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ আর দেশভাগ বিধ্বস্ত অর্থনীতির পুনর্বাসন। অর্থাৎ ঔপনিবেশিকতার উত্তরাধিকারের খেসারতের ভার থেকে ক্রমমুক্তি। কর্মসংস্হান বৃদ্ধি আর খাদ্য সমস্যার সমাধান। সাফল্য জোটে আশাতীত। জাতীয় আয়ের লক্ষমাত্রা ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে ১৮ শতাংশে পোঁছোয়।
হাংরি জেনারেশন: তিনজন কবির তিনটি কবিতা
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
শিল্প ও কার্তুজ
দুঃসাহসী কেউ নেই যে সে পেচ্ছাব করবে মুখে
জানে কামড়ে দেবো, জানে অঙ্গহানি হলে বুদ্ধদেব
কে পুনর্গঠিত করবে, পাগলা রামকিংকর বেইজ ছাড়া?
জীবনেই একবার শিল্পঅনুরাগিনীর কাছে
ন্যাংটার উদ্বৃত্ত অংশ হাতড়ে বলেছিলুম, কী ভাবো
শিল্পই যথেষ্ট! কেন কার্তুজ লটকানো হল দেহে ?
---------------------------------------------------------------------
দুঃসাহসী কেউ নেই যে সে পেচ্ছাব করবে মুখে
জানে কামড়ে দেবো, জানে অঙ্গহানি হলে বুদ্ধদেব
কে পুনর্গঠিত করবে, পাগলা রামকিংকর বেইজ ছাড়া?
জীবনেই একবার শিল্পঅনুরাগিনীর কাছে
ন্যাংটার উদ্বৃত্ত অংশ হাতড়ে বলেছিলুম, কী ভাবো
শিল্পই যথেষ্ট! কেন কার্তুজ লটকানো হল দেহে ?
---------------------------------------------------------------------
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)