হাংরি জেনারেশন: তিনজন কবির তিনটি কবিতা

শক্তি চট্টোপাধ্যায় 
শিল্প ও কার্তুজ 

দুঃসাহসী কেউ নেই যে সে পেচ্ছাব করবে মুখে 
জানে কামড়ে দেবো, জানে অঙ্গহানি হলে বুদ্ধদেব 
কে পুনর্গঠিত করবে, পাগলা রামকিংকর বেইজ ছাড়া? 
জীবনেই একবার শিল্পঅনুরাগিনীর কাছে 
ন্যাংটার উদ্বৃত্ত অংশ হাতড়ে বলেছিলুম, কী ভাবো 
শিল্পই যথেষ্ট! কেন কার্তুজ লটকানো হল দেহে ? 

--------------------------------------------------------------------- 

সুবিমল বসাক 
হাবিজাবি

আমারে মাইরা ফেলনের এউগা ষড়যন্ত্র হইসে
চারো কোনা দিয়া ফুসফুস আওয়াজ কানে আহে
ছাওয়াগুলান সইরা যায় হুমকে থিক্যা
অরাআমারে এক্কেরে শ্যায করতে সায়
আমি নিজের ডাকাইতে যা হাতরে লইয়া সচেত্তন আসি
কেউ আইয়া চ্যারায় দিশায় চ্যাবা কথা কয় না
আমি সুপসাপ থাকি
ভালাসির গুছাইয়া আমি কথা কইতে পারি না
২ কইতে গিয়া সাত হইয়া পড়ে
১৫ সাইলে ৯ আইয়া হাজির হব
ছ্যাব ফেলনের লাইগ্যা বিচড়াইতাসি অহন
আহ, আমার দাঁত মাজনের বুরুশ পাইতাসি না
বিশ্বাস করেন, কেউ একজনা আমার মুহের সকরা খাবার খাইসে ।


----------------------------------------------------------------------------------

প্রদীপ চৌধুরী 
সিদ্ধার্থ

চূড়ান্ত বিস্ফারিত তোমার ভ্রুণ বেআইনিভাবেই আমার হাতের মধ্যে
নেশায় আবার ফাটে । আমিই আমার শিকড় এবং খাদ্য আমিই মাটি পৃথিবীর
নোনাজল, আমিই গাঁজা, আমাকেই খাই, দেখো আমার সবুজ শরীরের মেরুণ হাত-পা,
মেরুণ চোখ, মেরুন তলপেট এবং ফ্যাকাশে লিঙ্গ
হলুদ রক্তস্রোতে কি রকম পৎপৎ শব্দ করে ভালোবাসার খিস্তি দিচ্ছে,
নতুন বারুদের গন্ধে ঝিমিয়ে আসছে শরীর, হয়ত জীবন.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন