গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গল্প লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শেখ সাদীর গল্প ‘যখন খিদে লাগে’

 

বসরার নাম কে শোনেনি? গোলাপের শহর। বসরার স্বর্ণকারের দোকানে বসে গল্প করছিল এক পথিক। সে মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পরিব্রাজক হয়ে ভ্রমণ করে। স্বর্ণকারদের কাছে সে তার একটা অভিজ্ঞতার গল্প বলছিল :

একবার মরুভূমিতে সে পথ হারায়। সে অভিজ্ঞতা বড় ভয়ানক। পেটে তীব্র ক্ষুধা, তৃষ্ণায় বুক ফেটে যায় যায়। মৃত্যুচিন্তায় আতঙ্কে শরীর হিম হয়ে আসে। সে ভেবে নেয় সেটাই তার জীবনের শেষদিন।

এমন সময় সে দূরে দেখতে পায় একটা থলে পড়ে রয়েছে। মনটা কিছুক্ষণের জন্য আনন্দে ভরে ওঠে। সে এগিয়ে যেতে থাকে। হয়তো থলেতে কিছু খাবার মিলবে।

হায় কপাল! থলেটা খুলে দেখে একটা মূল্যবান পাথর। সেখান থেকে আলো ঠিকরে পড়ছে। চরম দুঃখে সে থলেটা ছুড়ে মারে। তারপর আবার খাবারের সন্ধানে পথ হাতড়াতে থাকে।

গল্পের এক পর্যায়ে একজন স্বর্ণকার তাকে প্রশ্ন করে, “পাথরটা ছুড়ে মারলেন কেন? এত দামি!” সঙ্গে তো নিতে পারতেন। পরে বিক্রি করে কাজে লাগাতেন।

পথিক তখন মৃদু হাসে আর বলে, “ক্ষুধায় কাতর ব্যক্তির কাছে সামান্য খাবার বা পানির মূল্য পৃথিবীর সব মণিমানিক্য আর হীরে-জহরতের চেয়েও দামি।”







ভণ্ডুলমামার বাড়ি : বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়


পাড়াগাঁয়ের মাইনর স্কুল। মাঝে মাঝে ভিজিট করতে আসি, আর কোথাও থাকবার জায়গা নেই, হেডমাস্টার অবিনাশবাবুর ওখানেই উঠতে হয়। অবিনাশ বাবুকে লাগেও ভালো। বছর বিয়াল্লিশ বয়েস, একহারা চেহারা, বেশ ভাবুক লোক। বেশি গোলমাল ঝঞ্ঝাট পছন্দ করেন না। কাজেই জীবনের পথে বাধা ঠেলে অগ্রসর না হতে পেরে দেবলহাটি মাইনর স্কুলের প্রধান শিক্ষক-রূপে পনেরো বছর কাটিয়ে দিলেন এবং পনেরোটা বছর যে আর এখানেই কাটাবেন তার সম্ভাবনা ষোল আনার ওপর সতেরো আনা।

শাহাদুজ্জামানের গল্প : মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া

যুবকের তিনটি চিঠি আমদের হাতে। প্রথম চিঠিটি তার মায়ের কাছে। সম্ভবত তখন প্রশিক্ষনের সবেমাত্র শুরু। যুবকের বিহ্বলতা।
মা/
তোমাকে সশস্ত্র সালাম। এখানে এসে এই নতুন রকমে সালাম দেওয়া বেশ কায়দা করে শিখছি। সকাল বিকাল মাথা উচু ,শিরদাড়া সোজা আর সিনা টান করে কুচকাওয়াজ করে চলেছি। একবার ডান পা তুলছি আর একবার বাম পা। মাটির উপর বুটের গোড়ালি সেইটুকু জোরে লাগাবার চেষ্টা করছি যাতে মাথার ব্রহ্মতালু কেপে উঠে। এতদিন জানতাম মানুষের মগজটাই আসল,  এখন তো দেখছি আসল হলো হাঁটু। দুটো সুস্থ সবল হাঁটু থাকলেই জীবনে সাফল্য নিশ্চিত।

কোথায় পাব তারে : শহীদুল জহির


দক্ষিণ মৈশুন্দি, ভূতের গলির লোকেরা পুনরায় এক জটিলতার ভিতর পড়ে এবং জোড়পুল ও পদ্মনিধি লেনের, ওয়ারি ও বনগ্রামের, নারিন্দা ও দয়াগঞ্জের লোকেরা তাদের এই সঙ্কটের কথা শুনতে পায়; তারা, ভূতের গলির লোকেরা বলে:

আমরা পুনরায় আব্দুল করিমের কথায় ফিরে যেতে চাই, কারণ কয়েকদিন থেকে আমরা মহল্লায় শুনতে পাচ্ছিলাম যে, সে ময়মনসিং যাচ্ছে; কিন্তু আমরা তার এই কথাকে গুরুত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন একদিন বৃহস্পতিবার বিকালে আমাদের মহল্লা, ভূতের গলির ৬৪ নম্বর বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ব্যাপারি ঠোঙ্গায় করে গরম ডালপুরি কিনে ফেরার পথে আব্দুল করিমের সঙ্গে তার দেখা হয় এবং সে বলে আহো মিঞা, ডাইলপুরি খায়া যাও।

জেমস জয়েসের গল্প : এরাবি

ভূমিকা ও অনুবাদ : মোজাফ্ফর হোসেন

[জেমস জয়েস (১৮৮৪-১৯৪১)-এর জন্ম আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। জীবন ও জীবিকার তাগিদে তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ আয়ারল্যান্ডের বাইরে কাটলেও তাঁর প্রায় প্রতিটা লেখায় ডাবলিন শহরের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। লেখক হিসেবে সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে বেশ কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়েছে। শুরুর দিকে কোনো প্রকাশনীই তাঁর বই প্রকাশ করতে আগ্রহ দেখায়নি। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর গল্প সংকলন ‘ডাবলিনার্স’।

কান্না


গল্পটি রাঢ়বঙ্গ পত্রিকায় প্রকাশিত

গল্প | পাগলী ও নষ্টভ্রুণ

প্রতিদিন যাত্রীর হাঁকাহাঁকি চিৎকার আর চেঁচামেচিতে পূর্ণ হোসেনপুর স্টেশন। পূব-পশ্চিমমুখো রেললাইনের একপাশে স্টেশনের অফিস ঘর ও যাত্রীদের অপেক্ষা করবার স্থান। এর উল্টোদিকে স্টেশনের পুরোনো কিছু জীর্ণ ঘর। মালগাড়ির পুরোনো বগিসহ কয়েকটি গুদামঘরের অস্তিত্ব এখানে টের পাওয়া যায়। দুপাশের দুটো রাস্তা শহরের দিকে প্রবেশ করেছে।

গল্প । অনিকেত

একটা ট্যাকা কল্লে পরে দান,
দয়াল পয়গাম্বার উম্মতেরে কইরা নেবেন পার।
ও ভাই একটা ট্যাকা কল্লে পরে দান,
দয়ার রহমান-
নবীজীর উম্মতেরে কইরা দেবেন পার।

ফন্ট সমাধান :: সুদৃশ্য বাংলা ফন্ট

ওয়েবসাইটে সুতনির (Sutonny MJ) মতো বাংলা ফন্ট দেখতে চাই্লে 
আপনার কম্পিউটারে নিচের ওয়েবসাইটগুলো থেকে 
সোলাইমান লিপি (SOLAIMAN LIPI)
কালপুরুষ (KALPURUSH)
কিংবা 
আদর্শলিপি (ADORSHO LIPI) 
ফন্টগুলো যে-কোনো একটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করুন।

ফন্ট ইন্সটল করার নিয়ম :