শেখ সাদীর গল্প ‘যখন খিদে লাগে’

 

বসরার নাম কে শোনেনি? গোলাপের শহর। বসরার স্বর্ণকারের দোকানে বসে গল্প করছিল এক পথিক। সে মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ায়। এক দেশ থেকে আরেক দেশে পরিব্রাজক হয়ে ভ্রমণ করে। স্বর্ণকারদের কাছে সে তার একটা অভিজ্ঞতার গল্প বলছিল :

একবার মরুভূমিতে সে পথ হারায়। সে অভিজ্ঞতা বড় ভয়ানক। পেটে তীব্র ক্ষুধা, তৃষ্ণায় বুক ফেটে যায় যায়। মৃত্যুচিন্তায় আতঙ্কে শরীর হিম হয়ে আসে। সে ভেবে নেয় সেটাই তার জীবনের শেষদিন।

এমন সময় সে দূরে দেখতে পায় একটা থলে পড়ে রয়েছে। মনটা কিছুক্ষণের জন্য আনন্দে ভরে ওঠে। সে এগিয়ে যেতে থাকে। হয়তো থলেতে কিছু খাবার মিলবে।

হায় কপাল! থলেটা খুলে দেখে একটা মূল্যবান পাথর। সেখান থেকে আলো ঠিকরে পড়ছে। চরম দুঃখে সে থলেটা ছুড়ে মারে। তারপর আবার খাবারের সন্ধানে পথ হাতড়াতে থাকে।

গল্পের এক পর্যায়ে একজন স্বর্ণকার তাকে প্রশ্ন করে, “পাথরটা ছুড়ে মারলেন কেন? এত দামি!” সঙ্গে তো নিতে পারতেন। পরে বিক্রি করে কাজে লাগাতেন।

পথিক তখন মৃদু হাসে আর বলে, “ক্ষুধায় কাতর ব্যক্তির কাছে সামান্য খাবার বা পানির মূল্য পৃথিবীর সব মণিমানিক্য আর হীরে-জহরতের চেয়েও দামি।”







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন