আজকের বক্তৃতার বিষয় বাখতিনের ‘ভাষার দর্শন ও সাহিত্যতত্ত্ব’ কে ঠিক করেছে জানি না; কিন্তু শিরোনামটি যথার্থ হয়েছে। বাখতিন দর্শনেরই চর্চা করেছেন; যে অর্থে দর্শন জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সামগ্রিক বোধ-বোধি বা সিদ্ধান্ত হাজির করে, সে অর্থেই। আর কাজটা তিনি করেছেন ভাষাকে আশ্রয় করে। তাই বাখতিনের আলোচনায় ‘ভাষাদর্শন’ নামটি বেশ উপযুক্ত হয়েছে। কিন্তু দর্শন আর ভাষার দর্শনে দখল না থাকায় এ বিষয়ে কথা বলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি অপেক্ষাকৃত ছোট পরিসরে বাখতিনের উপন্যাসচিন্তা নিয়ে কথা বলব। আলোচনাটা সাহিত্যের নন্দনতত্ত্বের দিক থেকেই হবে।
মোহাম্মদ আজম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
মোহাম্মদ আজম লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলা আধুনিক কাব্যধারায় নজরুলের স্খান বিচার
মোহাম্মদ আজম
ইংরেজ
শাসন প্রতিষ্ঠিত হবার পর ঔপনিবেশিক বাস্তবতায় কলকাতায় বাংলা কবিতার যে নতুন ফলন
দেখি, এ লেখায় তাকেই আমরা ‘আধুনিক বাংলা কবিতা’
বলব। বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে এই অর্থে ‘আধুনিক’ শব্দটির ব্যাপক ব্যবহার দেখি। তিরিশের কবিরা
এবং পরবর্তী সমালোচকেরা তিরিশ-পরবর্তী কবিতার পরিচয়সূত্রে ‘আধুনিক’
শব্দটি অপরিবর্তিত অবস্থায় ব্যবহার করে যে গোলমাল পাকিয়েছেন, তাকে আমরা এখানে
গ্রাহ্য করব না। প্রধানত ঔপনিবেশিক হীনম্মন্যতার কারণেই ‘আধুনিক’
শব্দটির প্রতি বাংলাভাষীদের প্রবল ভক্তিভাব দেখা যায়। পশ্চিমদেশীয় ভাব ও রূপকে ‘আধুনিক’
আখ্যা দিয়ে বাদবাকি অনেক কিছুকে ‘অনাধুনিক’ বা ‘মধ্যযুগীয়’ কোটায় ফেলতে পারলে চিন্তার যে সরল-একরৈখিক
কাঠামো তৈরি হয়, তার আরামে আমাদের অধিকাংশ লেখককে সাহিত্যচর্চা করতে দেখি। এ লেখায়
আমরা সারল্যের এই আরামকে প্রশ্রয় দেব না। সার্বিক মানব-‘প্রগতি’র
নানা অংশে আধুনিক জমানার বিস্তর অবদান— যেমন, পশ্চিমা অর্থে জাতীয়তাবাদী চেতনা, বা
মার্ক্সীয় অর্থে সাম্যবাদী চেতনা— নিশ্চয়ই স্মরণীয়; কিন্তু ভুলে যাওয়ার উপায় নাই—
উপনিবেশ, সাম্রাজ্যবাদী শাসন-শোষণ আর অসম ক্ষমতা-সম্পর্কের আরো দশ দিগন্ত এই
আধুনিক জমানার ‘আধুনিকতা’র প্রকল্পেরই অংশ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)