শহীদুল জহির লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শহীদুল জহির লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কোথায় পাব তারে : শহীদুল জহির


দক্ষিণ মৈশুন্দি, ভূতের গলির লোকেরা পুনরায় এক জটিলতার ভিতর পড়ে এবং জোড়পুল ও পদ্মনিধি লেনের, ওয়ারি ও বনগ্রামের, নারিন্দা ও দয়াগঞ্জের লোকেরা তাদের এই সঙ্কটের কথা শুনতে পায়; তারা, ভূতের গলির লোকেরা বলে:

আমরা পুনরায় আব্দুল করিমের কথায় ফিরে যেতে চাই, কারণ কয়েকদিন থেকে আমরা মহল্লায় শুনতে পাচ্ছিলাম যে, সে ময়মনসিং যাচ্ছে; কিন্তু আমরা তার এই কথাকে গুরুত্ব না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই। তখন একদিন বৃহস্পতিবার বিকালে আমাদের মহল্লা, ভূতের গলির ৬৪ নম্বর বাড়ির মালিক আব্দুল আজিজ ব্যাপারি ঠোঙ্গায় করে গরম ডালপুরি কিনে ফেরার পথে আব্দুল করিমের সঙ্গে তার দেখা হয় এবং সে বলে আহো মিঞা, ডাইলপুরি খায়া যাও।

শহীদুল জহিরের গল্প

আবদুল মান্নান সৈয়দ

৭২ বছর বয়সে তরুণদের লেখা আর পড়া হয় না তেমন। উপায় নেই। তবু বছর কয়েক আগে তরুণদের কিছু গল্প-উপন্যাস পড়তে হয়েছিল। এদের কারো কারো নতুনত্ব আছে। একটি বিষয় লক্ষ্য করে অবাকই হয়েছিলাম, এদের অনেকেই সৈয়দ ওয়ালীঊল্লাহর ধারাবাহিকতায় পুষ্ট ও বর্ধিত হচ্ছেন। এদের মধ্যে সবচেয়ে যার লেখা আমাকে বিষ্মিত ও আশান্বিত করেছিল তিনি হচ্ছেন শহীদুল জহির। এতেও একটু আশ্চর্য হয়েছিলাম, আমাদের সমসাময়িক বন্ধু প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং অন্য বহু গুণে গুণান্বিত হায়াৎ মামুদও শহীদুল জহিরের লেখা পছন্দ করেছিলেন। যে বইটি আমাদের দু'জনেরই পরস্পরের অজ্ঞাতসারে ভালো লেগেছিল, সেটি হচ্ছে শহীদুল জহিরের গল্পগ্রন্থ 'ডলু নদীর হাওয়া ও অন্যান্য গল্প'।