মলয় রায়চৌধুরীসনাতন সমাজে মানুষের পরিচয় ও আত্মপরিচয়, নানা গাল-গল্প, অতিকথা, কাব্য, লোককথা থেকে ধারণা হয়, ছিল স্হির, অপরিবর্তনীয়, দৃঢ় এবং বলিষ্ঠ। পূর্বনির্ধারিত সামাজিক ভূমিকা এবং সমাজ-সংসারে ব্যক্তির স্হান নির্ণয়কারী ধার্মিক বিধিনিষেধ ইত্যাদির দ্বারা গঠিত ছিল তার আত্মপরিচয়। জীবনব্যাপী ওই প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করত তার চিন্তা ও আচরণ। জাত, ধর্ম, সম্প্রদায় তাকে যে গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত করে রাখত, তার মধ্যেই সে জীবনযাপন করত। অর্থাৎ জীবন-পরিসরের মর্মার্থ আগে থাকতে বাঁধা ছিল। প্রাগাধুনিক আলোচকরাও চরিত্র বিশ্লেষণের একটি সুনিদর্দিষ্ট অনুশাসন চাইতেন। সমাজে ও দর্শনে, পরিচয় ও আত্মপরিচয় ছিল সমাধানযোগ্য, বিতর্কবর্জিত ও মীমাংসিত। ভাবাই যায় না যে, তদানীন্তন কাব্যপ্রণেতা এবং তাঁদের প্রণিত চরিত্রেরা আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে ভুগছেন। আলোচকরা সরল মনে বলতে পারতেন যে, অমুক চরিত্রটি ফোটেনি। কিংবা কাব্যপ্রণেতাকে লেবেল মেরে দিতে পারতেন কোনও একটি বিশেষ রসের কবি হিসাবে। ... বিস্তারিত পড়ুন
মডার্ন আত্মপরিচয় , পোস্টমডার্ন আত্মপরিচয়
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন