বাংলা সাহিত্যে নারী এবং সাহিত্যে তাদের অবস্থান ও অবদান

তানিয়া হোসেন

সাহিত্যে নারী লেখকদের সর্বদাই একটু ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখা হয়। এ প্রথা সর্বকালের এবং সর্বযুগের। ইংরেজি সাহিত্যর ক্ষেত্রেও লক্ষ্য করা যায় যে সাহিত্য মূলত পুরুষদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কখনো কখনো নারী লেখকদের লেখাকে বিভিন্ন সাহিত্যে অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। প্রবন্ধটি আমি বাংলা সাহিত্যে নারী এবং সাহিত্যে তাদের অবস্থান ও অবদান নিয়ে কথা বলবো। তবে আমার সব সময় যেটা মনে হয়েছে যে সাহিত্যকে সাহিত্যের দৃষ্টিতেই মূল্যায়ন করা প্রয়োজন তা লেখকের লিঙ্গ ভেদে মূল্যায়ন করা সাহিত্য এবং সাহিত্যিকদের প্রতি অবিচার করা হয়ে থাকে।
কোনো কোনো বিশ্ব বিদ্যালয়ে নারী সাহিত্য তথাপি নারী-রচিত সাহিত্যকে ভিন্ন বিষয় হিসেবে পড়ানো হয়ে থাকে।তবে একথা সত্যি যে নারীরা তাদের রচয়িত সাহিত্যে সব সময়ই নারীদের তথাকথিত কিছু প্রথা নিয়ে আসেন।বাংলা সাহিত্যে নারী-পুরুষের প্রভেদ এবং সমাজের সমালোচনা বিগত ২০০ বছর ধরেই চলছে। রাজা রামমোহন রায় ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ নারী- পুরুষের প্রভেদ কমানোর জন্য কাজ করেন। বাংলা সাহিত্যে নারীদের বিচরণ উলে­খযোগ্য ভাবে লক্ষ্য করা যায় ১৯শতাব্দী থেকে এবং ২০ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে নারী লেখক তাদের সমকালীন পুরুষ লেখকদের পেছনে ফেলে সাহিত্যে নিজেরদের অবস্থান তৈরী করেন নেন। বিংশ শতাব্দীতে সাহিত্যে যারা বিশ্বের দরবারে নাম করেন তাদের মধ্যে প্রধান- আশাপূর্ণা দেবী (১৯০৯-১৯৯৫), মহাশ্বেতা দেবী (১৯২৬), নবনীতা দেব সেন (১৯৩৮) এবং মলি­কা সেনগুপ্ত প্রধান। মুসলিম লেখকদের মাঝে প্রধান বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২), এবং সুফিয়া কামাল(১৯১১-১৯৯৯). যদিও ১৯৫০ এর দশকে সাহিত্যে পুরুষের প্রাধান্য বেশি ছিল তবে ১৯৮০ এবং ১৯৯০ এর দশকে কৃষ্ণা বসু এবং মলি­কা সেনগুপ্ত ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। মলি­কা সেনগুপ্তর লেখা সে সময় সাহিত্যের জগতে একরকম ঝড় তুলেছিল বলা যেতে পারে। মলি­কা সেন গুপ্তের কবিতা এখনো রাজনৈতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
মহাশ্বেতা দেবী হিন্দু ধর্মের নিম্ন জাত দলিতদের(যাদেরকে অছ্যুত বলে মনে করা হয়) অধিকার নিয়ে লেখালেখি করেন। তিনি অসম সমাজ ব্যবস্থার সমালোচনা করেন। তবে দেবী নারীবাদিতার ব্যাপরে খুব বেশি উদার মনোভাব পোষণ করতেন না।মলি­কা সেনগুপ্ত অন্যদিকে সম্পূর্ণভাব নারীবাদিতার পক্ষে ছিলেন। তার লেখা পাঠককে সমাজের বিভিন্ন দিকের দুর্বলতাকে বুঝতে সহযোগিতা করে। বঙ্গ সাহিত্যে মলি­কা একটি বেশ বড় নাম। তিনি একাধারে ছিলেন কবি, নারীবাদী এবং শিক্ষাবিদ।মলি­কা তার পুরো কর্ম জীবন সমাজের নারী ও পুরুষের সম অধিকার অর্জন এবং তিনি সমাজে মেয়েদের নিম্ন অবস্থানের বিরুদ্ধে সব সময়ই লেখা-লেখি করেন। সমাজে মূলত ভারতবর্ষের নারীর অবস্থান সব সময় একটু নিচে কথায় নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্যাতিত।মলি­কা তার লেখায় বহুগামী পুরুষকে “ছেলে বেশ্যা” বলে আখ্যায়িত করেছেন, যে সে সময়কার মেয়েদের জন্য বলা বেশ বিরল একটি ব্যাপার ছিলো।দু’জনই নারীদের প্রভেদ নিয়ে লিখেছেন। গল্প ও উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মূলত নারীকেই করেছেন। এ দু’জন লেখক শুধু তাদের সময়কার আলোচিত নারীবাদী লেখক ছিলেন না, বর্তমানেও তারা বহুল পঠিত এবং অনেক সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত। তাদের লেখা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে।
অভিবক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম বাঙালি নারী যিনি নারী ও পুরুষের সম অধিকার নিয়ে কাজ করেন, তিনি হলেন বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন বাংলার নারীবাদী লেখকদের মাঝে সবচেয়ে শক্তিশালী লেখক বলে গৃহীত।তিনি মধ্যবিত্ত নারীদের বস্তির উন্নয়নের জন্য একত্রিত করেন এবং দরিদ্র মেয়েদেরকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রস্তুত করে দেন।তিনি রম্য, ব্যঙ্গ রচনার মাধ্যমে বাঙালি নারীর প্রতি অসমতার কথা উলে­খ করেন। সমাজের যে সব প্রথা নারীকে উন্নতির পথে বাধা প্রদান করে সে সব বিষয় তার লেখায় নিয়ে আসেন। তিনি সমাজের তথা-কথিত রীতি নীতির বিরুদ্ধে লেখেন। তিনি মূলত মুসলিম নারীর শিক্ষার বিষয় গুলো নিয়ে লেখা লেখি করেন। নারী শিক্কাহী ছিল তার বিদ্রোহের প্রধান লক্ষ্য। রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন পর্দা প্রথার বিরোধী ছিলেন না তবে তিনি নারী শিক্ষার জন্য সারা জীবন চেষ্টা করে গেছেন। তার মতে একজন শিক্ষিত মা, একটি পরিবারকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে। শিক্ষা একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে তৈরী করে। শিক্ষিত মেয়েকে তার জীবন যাপনের জন্য তার স্বামীর উপর নির্ভর করতে হয় না।ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করাকে সব সময়ই বেগম রোকেয়া অনুতসাহিত করেছেন। স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত দেখা যায় যে বাংলার নারী লেখক সবাই মূলত নারীদের অধিকার নিয়েই লেখা লেখি করেন। বাংলার নারী সর্বকালেই নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অসহায়।বাংলার নারীদের ভুমিকা সাহিত্যে কম হবার প্রধান কারণ সমাজ ও পরিবারের প্রতিবন্ধকতা। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় নারীদেরকে তথাকথিত রীতিও নীতির বাহিরে যাওয়া বেশ কষ্টকর। অনেকটা অসম্ভব বলা যেতে পারে পরিবারের সহযোগিতা না থাকলে সেটা সম্ভব হয় না। স্বাধীনতার পূর্বে তা ছিল আরো অসম্ভব ব্যাপার।বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন নিজেই বলেছেন যে তিনি কখনই নারীদের প্রগতির জন্য কাজ করতে পারতেন না যদি না তার ভাই ও স্বামী তাকে পূর্ণ সমর্থন না করত।আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত সমাজে মেয়েদের চাল-চলনে সব-সময়ই বাধা প্রদান করা হয়।এখানে লোক লজ্জা ও লোকের ভয় অনেক বেশি। কলমে কলংক থাকে আর থাকে সমালোচনা। তাই এ সমালোচনা ও কলঙ্গ বাঙালি পরিবার তার কন্যাদের গ্রহণে বাধা প্রদান করে থাকেন এবং সে কারণেই সাহিত্যের দিক থেকে বাংলায় নারীরা সর্বদাই পিছিয়ে।
স্বাধীনতার পর যে সব নারী সাহিত্যক বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে উলে­খযোগ্য ভুমিকা রেখেছেন তাদের মাঝে সেলিনা হোসেন(১৯৪৭) এবং রিজিয়া রহমান(১৯৩৯) অন্যতম প্রধান।স্বাধীনতার যুদ্ধের পরপর বলেই হয়ত মুলত তাদের উপন্যাসে যুদ্ধের কথা বেশ বড় আকারে প্রকাশ পায়।সেলিনা হোসেনের লেখা ‘গায়িত্রী সন্ধা’ ও রিজিয়া রহমানের ‘বং থেকে বাংলা’ অন্যতম প্রধান।স্বাধীনতার পর নারীবাদী ও আপসহীন লেখিকা হিসেবে পরিচিত,আলোচিত ও সমালোচিত হন তসলিমা নাসরিন।
তসলিমা নাসরিন নারী প্রগতিবাদী নন বরং কঠোর নারীবাদী যেখানে তিনি পুরষের প্রতি তার আক্রোশ পরিস্কার ভাবে তুলে ধরেছেন।তসলিমা নাসরিন ১৯৮২ এবং ১৯৮৩ সালে কবিতা লিখে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার কবিতা মূল বিষয় বস্তু ছিল নারীদের অসমতা।তসলিমা নাসরিন মূলত মানবধর্ম, চিন্তার স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং নারীদের সমান অধিকারের জন্য কাজ করেন।তসলিমা নাসরিন ছেলেবেলায় তার পিতা-মাতা দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিলেন বলেই তিনি নারীর সমান অধিকারের জন্য কাজ করেন।তিনি তার প্রবন্ধ ‘আমার মেয়েবেলায়’- এ কথার উলে­খ করেন।১৯৯০ সালে তসলিমা নাসরিন প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন এবং ১৯৯৩ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘লজ্জা’ প্রকাশ করেন যেখান তিনি হিন্দু পরিবারকে এক মুসলিম পরিবার দ্বারা বঞ্চিত হতে দেখান এবং এর ফল স্বরূপ তসলিমা নাসরিন কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হন। এ প্রকাশনা তার লেখা লেখির জীবনকে সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দেয়। তসলিমা নাসরিন ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র গ্রন্থ ‘পবিত্র কোরান শরীফকে’ সংশোধনের জন্য কলকাতার একটি সাক্ষাতকারে বলেন এবং এতে করে তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের তীব্র সমালোচলার সম্মুক্ষীন হন এবং তসলিমা নাসরিনকে কলকাতা থেকে বের না করে দিলে হাজার সাপ দেশে চেরা দেবার হুমকি দেয়া হয়। তসলিমা নাসরিন দু’মাস আত্মগোপনের পর সুইডেনে আশ্রয় গ্রহণ করেন। তসলিমা নাসরিন ইসলাম বিরোধী কিছু কথা লেখেন এবং তিনি কঠোর ইসলামপন্থীদের দ্দ্বারা আক্রমনের স্বীকার হন এবং বেশ কয়েকবার তাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া হয়। ১৯৯৪ সালে তিনি স্বেছায় দেশ ত্যাগ করেন অথবা করতে বাধ্য হন।তসলিমা নাসরিনের পর বাংলা সাহিত্যে এত সমালোচিত কোনো লেখক হননি এবং নারীবাদী লেখকের জন্মও হয়নি। তবে তসলিমা নাসরিনের একটা প্রভাব রয়ে গেছে বাংলা সাহিত্যে। তসলিমা নাসরিনের এই বিতর্কের ফলে বাংলাদেশের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার তাদের মেয়ে সন্তানদেরকে সাহিত্য চর্চায় অনুস্ত্সাহিত করছেন যা একটি দেশের সাহিত্য জগতের জন্য বেশ বড় ধরনের ক্ষতি। এতে অনেক সম্ভাবনাই শুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।তসলিমা নাসরিন দু বাংলায়ই সমালোচিত। তসলিমা নাসরিনের নির্বাচত ক- তীব্র সমালোচনার সমুক্ষিন হয়। খ্যাতমান লেখক তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কেইস ফাইল করেন এবং সুনীল গঙ্গপাধ্যায় এই বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করবার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তসলিমা নাসরিন এই বইটিতে অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তির ব্যক্তিগত, গোপন এবং আপত্তিকর কথা লেখেন, যা সমাজে বেশ বড় রকমের আলোচনার সৃষ্টি করে। বিশেসজ্ঞদের মতে তসলিমা নাসরিন এ সব কাজ করেছেন নিজেকে বিখ্যাত করে তুলবার জন্য তবে তসলিমা নাসরিন বলেন যে তিনি তার নিজের জীবনী লিখেছেন অন্যদের নয়। বাংলাদেশের জাতীয় অধ্যাপক কবির চৌধুরী এবং ভারতের সন্যামধন্য লেখক অরুন্ধুতি রায়ও তসলিমা নাসরিনকে সমর্থন করেন। তসলিমা নাসরিনের লেখা সাহিত্যের মূল্যায়নে কতটুকু স্থান পাবে তা সময় বলবে। তবে একথা সত্য যে ইতিবাচক হোক আর নেতিবাচক-তসলিমা নাসরিন বাংলা সাহিত্যে একটি আলোচনা তুলতে সক্ষম হয়েছে। এ লেখকের লেখার মানের বিচারের সময় এখনো আসনি।
তবে বাংলা সাহিত্যে নারী লেখক যারা এ পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাপী নাম করেছেন তারা সকলেই নারীর অধিকার ও প্রগতি নিয়ে কথা বলেছেন। এটাই ছিল মূল বিষয়।এর বাহিরে কিছু লেখা হয়েছে সেগুলো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক।বাংলার নারী সাহিত্যকরা নারীর অধিকার নিয়ে লিখেছেন কারন বাংলার নারী সব সময়ই অবহেলিত ও অত্যাচারিত। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে কম দেখা যায়।বাংলা সাহিত্যে নারীদের ভুমিকা কম তার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বাংলায় সবসময়ই নারী শিক্ষার হার কম। দু’দশক পূর্বে নারী শিক্ষাকে অনেকেই “অন্যের চারা গাছে পানি দেয়া”কেই বুঝিয়ে থাকতেন। সেই মানুষিকতা দূরীকরণে সহযোগিতা করেছেন বেগম রোকেয়া শাখাওয়াত হোসেন। এ ছাড়া বাংলার সমাজ ব্যবস্থাও এর জন্য কিছুটা দ্বায়ী। পুরুষস্বাশিত এ সমাজে নারীর প্রগতিকে অনেকেই সহজভাবে নিতে পারে না। মেয়েদের ছেলেবেলা থেকেই নিজেদের মতামত প্রদান থেকে বিরত রাখবার শিক্ষায় দেয়া হয়। মধ্যবিত্ত সমাজে এর প্রবণতা একটু বেশি। তাছাড়া বাংলায় বিয়ে একটি বড় বাপার। মেয়েদের জন্মই হয় মূলত একটি ভালো বিয়ে হবার জন্য। বিয়ের পর সাহিত্য চর্চা অনেক পরিবারের জন্য হাস্যকর ব্যাপার বলেই মনে হয়। বিয়ে করে সন্তান পালনকে এখনো অনেক পরিবার মেয়েদের একমাত্র ও প্রধান কাজ বলেই মনে করেন। যদিও সমাজের কিছু অংশের পরিবর্তন হয়েছে তবুও প্রায় অর্ধেকের বেশি পরিবার বিয়েকে একমাত্র জীবনের লক্ষ্য বলেই মনে করে থাকেন।তাছাড়া অশিক্ষা একটি প্রধান কারণ।এখনও প্রায় অর্ধকেরও বেশি নারী শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যেখানে শিক্ষা নেই সেখানে সাহিত্য হয় না। তাছাড়া বাংলার নারীরাও তাদের নিজেদের পরিস্থিতির জন্য দ্বায়ী। অনেকেই মনে করে যে বিয়েই একমাত্র লক্ষ্য আবার অনেকেই নারীর অধিকার কথাটির অর্থ বোঝে না। বিয়ে করে স্বামীর সংসার করাকেই অনেক নারী এখনো নারী অধিকার বলে বোঝেন।দেশ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রকৃত শিক্ষায় নারী সমাজকে শিক্ষিত করতে না পারলে সুন্দর সাহিত্য পাওয়া যাবে না। সাহিত্যে সেদিন অবশ্যই আসবে যেদিন “সাহিত্যে নারী”- এ কথাটির বিলুম্প্তি ঘটবে। সাহিত্য হবে সার্বজনীন। লেখক হবেন সবার যেখানে নারী-পুরুষের কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যেদিন কোনো লেখকে লিখতে হবে না “বাংলা সাহিত্যে নারীর অবদান” বরং লিখবে “বিশ্ব সাহিত্যে বাংলা সাহিত্যের অবদান ও অবস্থান”।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন