পাঁচ লাইনের কবিতার নাম লিমেরিক কেন হলো? লিমেরিক আসলে একটা জায়গার নাম,
এর নিজস্ব একটা ইতিহাস আছে, সে ইতিহাস লিমেরিকের মতোই অদ্ভুত। লিখেছেন
ওবায়দুল গনি চন্দন
এর নিজস্ব একটা ইতিহাস আছে, সে ইতিহাস লিমেরিকের মতোই অদ্ভুত। লিখেছেন
ওবায়দুল গনি চন্দন
লিমেরিক আয়ারল্যান্ডের একটি জায়গার নাম, ফ্রান্সের সৈন্যদলের আইরিশ ব্রিগেডিয়াররা ওই লিমেরিকে অবস্থানের সময় এই রকম ছড়ার গান গাইত, সেখানে ধোঁয়ার মতো শেষ লাইনে থাকত এই কথাটি ‘খবঃ ঁং পড়সব ঁঢ় ঃড় খরসবৎরপশ’ সুর করে কোরাসের মাধ্যমে, নিশ্চয় কোনো অজানা কবির হাতে এই ধরনের গান চালু ছিল। সৈন্যরা হয়তো লিমেরিকের এই ধরনটার অনুকরণে মুখে মুখে ছড়া তৈরি করে গান গাইত। যুদ্ধ শেষে যে যার বাড়ি চলে গেল গান শোনাল তাদের ভাবি বংশধদের। লিমেরিক থেকে আমদানি বলে এবং খবঃ ঁং পড়সব ঃড় খরসবৎরপশ-এ শেষ কথাটি ‘খরসবৎরপশ’ বলে ছড়াগুলোর নাম হয়ে গেল লিমেরিক।
নিজের কষ্ট নিয়ে যিনি কৌতুক করতে পারেন তারা অজান্তে দিয়ে যান এক পবিত্র আকাশ। সে আকাশে থাকে রংধনুর শুষমা, রংধনু যদি হয় সে আকাশের হাসি তবে বৃষ্টি হলো তার চোখের পানি, আর বৃষ্টির পানি নিয়েই তো রংধনুর যত চোখের রং। কী জীবনে কী সাহিত্যে এডওয়ার্ড লিয়র ছিলেন সে রকম একজন। তার মজার উৎস টুকু ছিল তার বেদনাবোধ। নিজের বেদনাটুকু নিছক হাসিতে রূপান্তরিত করে গেছেন, কেনা পড়ছে তার পঞ্চদশী সেসব ছোট আকারের তৃতীয় ও চতুর্থ আকারে লাইনে মিল এবং অপেক্ষাকৃত বড় আকারের প্রথম, দ্বিতীয় এবং পঞ্চম লাইনে মিল। লিমেরিক ছড়া ছাড়াও তার আছে লিরিক ছড়ার সম্ভার। আর আছে তার চিত্রকর রূপে বিরাট পরিচয়। তার ‘ননসেন্স’-এর অজানা দিকটি থেকে যাবে যদি না তার লিরিকগুলোর সঙ্গে পরিচয় থাকে। যেমন-
ঞযবৎব ধিং ধহ ড়ষফ সধহ রহ ধ নধৎমব,
ডযড়ংব হড়ংব ধিং বীপববফরহমষু ষধৎমব;
ইঁঃ রহ ভরংযরহম নু হরমযঃ,
ওঃ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃবফ ধ ষরমযঃ,
ডযরপয যবষঢ়বফ ঃযধঃ ড়ষফ সধহ রহ ধ নধৎমব.
লড স্টানলির ছেলেমেয়েরা লিয়রকে খুব ভালোবাসত, তিনি লিয়রকে কীভাবে যেন জোগার করে এনে দিয়ে ছিলেন একটি ছবির সঙ্গে ছড়ার বই নাম অহবপফড়ঃবং ধহফ অফাবহঃঁৎব ড়ভ ভরভঃববহ মবহঃষবসবহ. প্রকাশকাল সম্ভবত ১৮২২। লেখকের নাম আজ গবেষণার বিষয়। এছাড়াও ছিল ‘ঞযব যরংঃড়ৎু ড়ভ ংরীঃববহ ড়িহফবৎভঁষ ড়িসধহ’ প্রথম ছড়াটি শুনুন
ঞযবৎব ধিং ধ ংরপশ সধহ ড়হ ঞড়নধমড়
খরাবফ ষড়হম ড়হ ৎরপয মৎঁবষ ধহফ ংধমড়
ইঁঃ ধঃ ষধংঃ ঃড় যরং নষরংং
ঞযব চযুংরপরধহ ংধরফ ঃযরং –
ঞড় ৎড়ধংঃ ষবম ড়ভ সঁঃঃড়হ ুড়ঁ সধু মড়.
কী দক্ষ হাত লিমেরিকের একনাম না জানা এই কবির, এই নাম না জানা কবির লিরিকের সঙ্গে ছবি আঁকলেন লিরয়।
একেবারে জনজীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল লিমেরিক। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজি ষরমযঃ াবৎংব ইতিহাসে এই সব কবিতা ‘ঘড়হংবহংব’ আখ্যা পেল। লিয়রের লিমেরিক আর লিরিক, যা তিনি গান গেয়ে শোনাতেন এর অনাস্বাদিত রূপ আর রস নিয়ে। লিরয়ের অ নড়ড়শ ড়ভ ঘড়ড়হংবহংব অবশ্য প্রকাশিত হয়েছিল স্টানলির বাড়ির সেই ঘটনার ১৩ বছর পর ১৮৪৬ সালে, এখানে লিয়র এক অদ্ভুত ছদ্মনাম নিয়েছিলেন। উবৎৎু উড়হি উবৎৎু. এই বই লেখার পেছনে অমরত্ব কোনো চিন্তা ছিল না লিয়রের কিন্তু অমরত্ব নিজে এসে ধরা দিল লিয়রের কাছে। লিয়র বাবা-মার বিংশতম সন্তান। ছোট বেলা থেকেই অভাব-অনটনের বিরাট জ্বালা সইতে হয়েছে বড় বোন অ্যানের কাছে মানুষ হয়েছেন লিয়র। মায়ের বংশধারা থেকে তিনি পেয়েছিলেন মৃগী রোগ, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো মূল্যবান উপহার। ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তিও ছিল আজন্মসঙ্গী। অভাব জন্ম থেকে। এসব অভিসম্পাত তার স্পর্শকাতর মনটাতে চাপ ফেলে। বিরল এক প্রতিভার অধিকারী অথচ সচ্ছল একটি জীবনযাপনে এত প্রতিবন্ধকতা। ১৫ বছরে স্কুলের পাট চুকান ভালো লাগেনি বলে। অথচ চিত্রকলায় ছিলেন দারুণ পারদর্শী। কমপক্ষে ১২টি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। রাগে অভিমানে বিয়েই করলেন না। নিঃসঙ্গতা ঘোচাতে ঘুরে গেছেন ভারতে। ইড়সনধু ঞরসবং-এ তার বিখ্যাত ননসেন্স কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৭৪ সালের জুলাইতে নাম ঞযব ঈঁসসবৎনঁহফ মানে ‘কোমরবন্ধ।’ স্নায়ুরোগের জন্য লিয়র মানুষের ভিড় পছন্দ করতেন না তাই তো কলকাতার রাজভবন দেখে বলছেন ঐঁংংষবভঁংংধনঁফ অর্থাৎ ‘বড্ড গোলমেলে।’ এই জগৎটি যেন চিত্রিত হয়েছে লিয়রের ক্যানভাসে প্রশংসা পেলেও মর্যাদা পাননি। শিল্পবিপ্লবের তাড়নায় তখন ইংল্যান্ডে চলছিল সংস্কৃতির অবমূল্যায়ন। শুধু লিমেরিক বা লিরিকেই না, বাস্তবেও নিজেকে ব্যঙ্গ করেছেন। সারাজীবন পরেছেন বেঢপ প্যান্ট-শার্ট আর মোটা নাকের ডগায় ঝুলিয়েছেন ল্যাগব্যাগে চশমা। তবে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। একবার একটা সস্তার সরাইখানায় রাত কাটাচ্ছিলেন, শুনলেন পাশের রুমে তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঐড়ি ঢ়ষবধংধহঃ ঃড় শহড়ি গৎ. খবধৎ!
নিজের কষ্ট নিয়ে যিনি কৌতুক করতে পারেন তারা অজান্তে দিয়ে যান এক পবিত্র আকাশ। সে আকাশে থাকে রংধনুর শুষমা, রংধনু যদি হয় সে আকাশের হাসি তবে বৃষ্টি হলো তার চোখের পানি, আর বৃষ্টির পানি নিয়েই তো রংধনুর যত চোখের রং। কী জীবনে কী সাহিত্যে এডওয়ার্ড লিয়র ছিলেন সে রকম একজন। তার মজার উৎস টুকু ছিল তার বেদনাবোধ। নিজের বেদনাটুকু নিছক হাসিতে রূপান্তরিত করে গেছেন, কেনা পড়ছে তার পঞ্চদশী সেসব ছোট আকারের তৃতীয় ও চতুর্থ আকারে লাইনে মিল এবং অপেক্ষাকৃত বড় আকারের প্রথম, দ্বিতীয় এবং পঞ্চম লাইনে মিল। লিমেরিক ছড়া ছাড়াও তার আছে লিরিক ছড়ার সম্ভার। আর আছে তার চিত্রকর রূপে বিরাট পরিচয়। তার ‘ননসেন্স’-এর অজানা দিকটি থেকে যাবে যদি না তার লিরিকগুলোর সঙ্গে পরিচয় থাকে। যেমন-
ঞযবৎব ধিং ধহ ড়ষফ সধহ রহ ধ নধৎমব,
ডযড়ংব হড়ংব ধিং বীপববফরহমষু ষধৎমব;
ইঁঃ রহ ভরংযরহম নু হরমযঃ,
ওঃ ংঁঢ়ঢ়ড়ৎঃবফ ধ ষরমযঃ,
ডযরপয যবষঢ়বফ ঃযধঃ ড়ষফ সধহ রহ ধ নধৎমব.
লড স্টানলির ছেলেমেয়েরা লিয়রকে খুব ভালোবাসত, তিনি লিয়রকে কীভাবে যেন জোগার করে এনে দিয়ে ছিলেন একটি ছবির সঙ্গে ছড়ার বই নাম অহবপফড়ঃবং ধহফ অফাবহঃঁৎব ড়ভ ভরভঃববহ মবহঃষবসবহ. প্রকাশকাল সম্ভবত ১৮২২। লেখকের নাম আজ গবেষণার বিষয়। এছাড়াও ছিল ‘ঞযব যরংঃড়ৎু ড়ভ ংরীঃববহ ড়িহফবৎভঁষ ড়িসধহ’ প্রথম ছড়াটি শুনুন
ঞযবৎব ধিং ধ ংরপশ সধহ ড়হ ঞড়নধমড়
খরাবফ ষড়হম ড়হ ৎরপয মৎঁবষ ধহফ ংধমড়
ইঁঃ ধঃ ষধংঃ ঃড় যরং নষরংং
ঞযব চযুংরপরধহ ংধরফ ঃযরং –
ঞড় ৎড়ধংঃ ষবম ড়ভ সঁঃঃড়হ ুড়ঁ সধু মড়.
কী দক্ষ হাত লিমেরিকের একনাম না জানা এই কবির, এই নাম না জানা কবির লিরিকের সঙ্গে ছবি আঁকলেন লিরয়।
একেবারে জনজীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেল লিমেরিক। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজি ষরমযঃ াবৎংব ইতিহাসে এই সব কবিতা ‘ঘড়হংবহংব’ আখ্যা পেল। লিয়রের লিমেরিক আর লিরিক, যা তিনি গান গেয়ে শোনাতেন এর অনাস্বাদিত রূপ আর রস নিয়ে। লিরয়ের অ নড়ড়শ ড়ভ ঘড়ড়হংবহংব অবশ্য প্রকাশিত হয়েছিল স্টানলির বাড়ির সেই ঘটনার ১৩ বছর পর ১৮৪৬ সালে, এখানে লিয়র এক অদ্ভুত ছদ্মনাম নিয়েছিলেন। উবৎৎু উড়হি উবৎৎু. এই বই লেখার পেছনে অমরত্ব কোনো চিন্তা ছিল না লিয়রের কিন্তু অমরত্ব নিজে এসে ধরা দিল লিয়রের কাছে। লিয়র বাবা-মার বিংশতম সন্তান। ছোট বেলা থেকেই অভাব-অনটনের বিরাট জ্বালা সইতে হয়েছে বড় বোন অ্যানের কাছে মানুষ হয়েছেন লিয়র। মায়ের বংশধারা থেকে তিনি পেয়েছিলেন মৃগী রোগ, হাঁপানি এবং ব্রঙ্কাইটিসের মতো মূল্যবান উপহার। ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তিও ছিল আজন্মসঙ্গী। অভাব জন্ম থেকে। এসব অভিসম্পাত তার স্পর্শকাতর মনটাতে চাপ ফেলে। বিরল এক প্রতিভার অধিকারী অথচ সচ্ছল একটি জীবনযাপনে এত প্রতিবন্ধকতা। ১৫ বছরে স্কুলের পাট চুকান ভালো লাগেনি বলে। অথচ চিত্রকলায় ছিলেন দারুণ পারদর্শী। কমপক্ষে ১২টি ভাষায় কথা বলতে পারতেন। রাগে অভিমানে বিয়েই করলেন না। নিঃসঙ্গতা ঘোচাতে ঘুরে গেছেন ভারতে। ইড়সনধু ঞরসবং-এ তার বিখ্যাত ননসেন্স কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৭৪ সালের জুলাইতে নাম ঞযব ঈঁসসবৎনঁহফ মানে ‘কোমরবন্ধ।’ স্নায়ুরোগের জন্য লিয়র মানুষের ভিড় পছন্দ করতেন না তাই তো কলকাতার রাজভবন দেখে বলছেন ঐঁংংষবভঁংংধনঁফ অর্থাৎ ‘বড্ড গোলমেলে।’ এই জগৎটি যেন চিত্রিত হয়েছে লিয়রের ক্যানভাসে প্রশংসা পেলেও মর্যাদা পাননি। শিল্পবিপ্লবের তাড়নায় তখন ইংল্যান্ডে চলছিল সংস্কৃতির অবমূল্যায়ন। শুধু লিমেরিক বা লিরিকেই না, বাস্তবেও নিজেকে ব্যঙ্গ করেছেন। সারাজীবন পরেছেন বেঢপ প্যান্ট-শার্ট আর মোটা নাকের ডগায় ঝুলিয়েছেন ল্যাগব্যাগে চশমা। তবে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন এতে কোনো সন্দেহ নেই। একবার একটা সস্তার সরাইখানায় রাত কাটাচ্ছিলেন, শুনলেন পাশের রুমে তাকে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঐড়ি ঢ়ষবধংধহঃ ঃড় শহড়ি গৎ. খবধৎ!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন